পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালার কর্যকর করার আহ্বান

পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালা কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। সোমবার (২৪ জুলাই) জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে ‘পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) আয়োজনে সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল ফয়েজ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রোটেকশন প্রধান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বলেন, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া। এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব, যা আমাদের দেশের গবেষকরাই গবেষণা করে বের করেছেন। এখন জাতীয় পর্যায়ে এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার সময় এসেছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে একটি জাতীয় পর্যায়ের কর্মপন্থা (ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি) তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছি আমরা, যা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিতে কাজ করব।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে সিআইপিআরবি’র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর প্রফেসর ড. একে এম ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে ২০০৫ সাল থেকে কাজ করছে সিআইপিআরবি। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য, (১) পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে একটি কাজ করব, (২) একটি কাজের উন্নয়ন করব এবং (৩) একটি কাজের সাথে যুক্ত হবো।
সভারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইপিআরবি ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ড. আমিনুর রহমান। বাংলাদেশের পানিতে ডুবে মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এরমধ্যে ৪০ জনই শিশু। এই প্রতিটি জীবনই অপার সম্ভাবনাময় এবং এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এই মৃত্যু প্রতিরোধের গুরুত্ব বিবেচনা করে, ২৫ জুলাইকে বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরের ২৯ মে, ওয়ার্ল্ড হেলথ এসেম্বলি প্রথম বারের মতো পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধকে রেজ্যুলেশন হিসাবে গ্রহণ করেছে।
পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান অন্যান্য অতিথিরা। বক্তারা বলেন, অনেক সময় এই মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে নথিভুক্ত করা হয়। যার ফলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা দৃষ্টিগোচর হয় না। এজন্য পানিতে ডুবে মৃত্যুকে আলাদাভাবে বিবেচনা করার গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়াও, পানিতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া। এজন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনার উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
এমএসএম / এমএসএম

সরকারের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত মানুষের কাজে আসবে না : রাশেদা কে চৌধুরী

৭ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার

দেশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

সরকারের হাজার প্রকল্প থাকলেও ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত তথ্য নেই

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক

ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪১২

৬ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার ৭ প্রস্তাব

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা: এলএমজি ৫ লাখ, শটগানে ৫০ হাজার

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর

সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ প্রকোপ হতে পারে

অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান একমত

৫ স্মারক ও এক চুক্তি সই করল বাংলাদেশ-পাকিস্তান
Link Copied