ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

করোনা মোকাবেলায় মাস্ক-টিকা ভরসা


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০-৮-২০২১ রাত ১০:১৯

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি নেই। এরমধ্যেই বুধবার (১১ আগস্ট) বিধিনিষেধ (লকডাউন) শিথিল হয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা, দোকান-শপিংমলসহ প্রায় সবকিছু খুলছে। মহামারী থাকলেও মানুষের জীবন-জীবিকা ‍এবং অর্থনীতির কর্মকাণ্ড সচল রাখার তাগিদ রয়েছে সরকারের ওপর। সংকটে পড়া বিভিন্ন পেশার মানুষও আর মানতে চাচ্ছে না বিধিনিষেধ। তাই জীবিকা ও অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে আপাতত লকডাউন থেকে সরে এসেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে মাস্ক পরাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা করতে চাইছে সরকার।

তবে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ করোনা মোকাবেলায় সরকারের এই কৌশলের সঙ্গে একমত নন। আবার কেউ কেউ বলছেন, আমাদের মতো দেশে বেশিদিন লকডাউন রাখা সম্ভব নয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ক্ষেত্রে সফল হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান জানান, আমাদের মতো দেশে লকডাউন প্রোপারলি করা সম্ভবই না। লকডাউন দিলে শ্রমজীবী মানুষ, রিকসাওয়ালারা খাবে কী? তার খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। না পারলে সে বলবে করোনা হয়ে মরার ভয়ে আমি বের হব না, আমি তো তার আগেই না খেয়ে মরে যাব। এটা তো চিন্তা করতে হবে। তবে একটা কাজ করলে সাবসটেন্সিয়াল লকডাউনে ইফেক্ট পাওয়া যেত, তা হলো- মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা। মাস্ক না পরে বাইরে এলেই শাস্তি পেতে হবে। এছাড়া যাদের মাস্ক নেই, সরকার তাদের মাস্ক সরবরাহ করবে। এটা বাস্তবায়ন করলে বড় সুফল পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি। লোকজন যেখানে দিন আনে দিন খায়, সেখানে তো দীর্ঘমেয়াদে লকডাউন দেয়া সম্ভব নয়। করোনা ভাইরাসে মানবসভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে না। করোনা নিয়েও মানুষ বেঁচে থাকবে। তাই আমরা করোনা নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকব সেটা হলো কথা। মূল কৌশল হলো, সকল মানুষকে টিকা দিয়ে ফেলা।

তিনি আরো জানান, ভ্যাকসিন কতদিন ইফেক্টিভ সেটাও ওয়ার্কআউট করা হয়নি। অনেক দেশে তো তৃতীয় ডোজ দিতে শুরু করেছে, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটা অনুমোদন করেনি। তাই এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশের নিজের তৈরি করা উচিত।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ও নিম্নআয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে বিধিনিষেধ শিথিলের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও শনাক্তের হার ও মৃত্যুর হারের বিষয়ে আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে। যেহেতু দোকানপাট খুলতে হবে- সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানে সেদিকে আমাদের জোর থাকবে। গণটিকা চালু করেছি, এটি ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমরা চাইব সবাই যেন মাস্ক পরে।

গত ৩ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় মাস্ক না পরলে শাস্তির বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নিশ্চয়ই এ বিষয়ে আগামীতে কোনো নির্দেশনা পাব। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষকে সচেতন করে পাড়া-মহল্লার করোনা প্রতিরোধ কমিটিগুলোকে আরো কার্যকর করে মানুষ যেন মাস্ক পরে, জনসমাগম এড়িয়ে চলে সেটা দেখতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন কমিটি এটি নিয়ে কাজ করছে। আগামীতে মাস্ক পরা নিশ্চিতে তারা কাজ করবেন।

জামান / জামান

‌‌‘তরুণরা সক্রিয় থাকলে কোনো সমস্যাই আর অমীমাংসিত থাকতে পারে না’

১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

বাংলাদেশ-ভারতসহ ৬ দেশে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প

ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা

যারা রাস্তা অবরোধ করেছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকাসহ ৬ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

ঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, ধীরগতি যানবাহনে অফিসগামীদের দুর্ভোগ

টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন প্রধান উপদেষ্টার

সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেফতার

বিশেষ ফ্লাইটে নেপাল থেকে রওনা হয়েছে জাতীয় ফুটবল দল