১০ বছর পূর্ণ করেছে পল্টনের “নিউ ধানসিঁড়ি” বাংলা রেস্টুরেন্ট
রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত এলাকা পুরানা পল্টনে নিউ ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টের অবস্থান। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে দশ বছর অতিক্রম করেছে রেস্টুরেন্টটি। পুরানা পল্টনেই দুটি শাখা এর। কর্ণধার আবু বকর সিদ্দিক এবং রোজিনা ইসলাম এর হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে নিউ ধানসিঁড়ি। ছোট পরিসর, অথচ খাবারে নামকরা- এক বাক্যে এটাই নিউ ধানসিঁড়ির পরিচয়। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বৈকালিক নাস্তা এবং রাতের আহার- সব পাওয়া যায় এখানে। বাংলা রেস্তোরাঁটি সপ্তাহের অফিস দিনগুলোতে খাদ্য রসিকদের ভীড়ে গমগম করে। দৈনন্দিন বাংলা খাবারের আয়োজন করে চলেছে এই রেস্টুরেন্ট। খুব সকালে ৬ টায় খোলে, রাত ১১ টায় বন্ধ হয়। নিরিবিলি পরিবেশে ২ শাখা মিলিয়ে একত্রে ১০০ জন আসন গ্রহণ করে খাবার খেতে পারে।
এই রেস্টুরেন্টের প্রধান আকর্ষণঃ ভাত, মাছ, মাংস, সবজি, ভর্তা, ভাজি। বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু ও টাটকা ভর্তার দেখা মেলে এখানে। ঘরের খাবারের ছোঁয়া যেন এসব ভর্তা ও শাকসবজিতে। রুই, বোয়াল, আইড়, মলা, কাচকী, কৈ এবং অন্যান্য সিজনাল দেশী মাছ রয়েছে। মুরগী ঝাল ফ্রাই ও কারী খেতে খুব মজাদার। গরুর হালকা ঝাল রেজালাতে মাংসের টুকরাগুলো বড়, তুলতুলে, মোলায়েম ও টাটকা। অন্য দিকে, বিফ ও চিকেন ঝাল খিচুড়ি, চিকেন বিরিয়ানী ভাল হয়। বিকেলের নাস্তায় আছে ৪ ধরণের নান রুটি, বিশেষ পেশোয়ারী ধাঁচের পরাটা, কাবাব, গ্রীল, চাপ, লাচ্ছি ও চা~কফি। এই সব খাবারের উপকরণ সতেজ, দৈনিক বাজারকৃত। দাম তুলনামূলক কম। পার্সেল ও ইভেন্ট ক্যাটারিং করে থাকে রেস্টুরেন্টটি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই রেস্টুরেন্টকে “এ” গ্রেড দেয়, যা সন্তোষজনক ও সুন্দর। নিউ ধানসিঁড়ির উভয় শাখার খাবার রাজধানীবাসী সহ দূর দূরান্তের অতিথিদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য, এমনটা জানান রেস্টুরেন্টের কর্ণধার আবু বকর সিদ্দিক। অবস্থানঃ পুরানা পল্টন মোড়, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পাশে এবং মণি সিংহ ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে।
এমএসএম / এমএসএম