অভিনেত্রী হিমু মৃত্যুঃ মামলার প্রতিবেদন ১৩ মে
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে না পরায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।
জানা যায়, জিয়াউদ্দিন রুফি হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মাঝে রাত্রিযাপন করতেন। ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো লাইভ আইডি ব্লক দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দেন। মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞেস করে, আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। এসময় হিমু রুমের সিলিংফ্যানের হুকে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান। এ ঘটনায় গত বছরের ২ নভেম্বর রাতে হিমুর খালা নাহিদ আক্তার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এমএসএম / এমএসএম