ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ওসি,ডাক্তার ও জেল সুপারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা


মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লব photo মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লব
প্রকাশিত: ৯-৫-২০২৪ দুপুর ১২:১৮

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানার ওসি, ডাক্তার ও জেল সুপারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে  মামলা করা হয়েছে।বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ভিকটিম রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নিয়ে আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, পুলিশের এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, মো. মিজানুর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, জোনাব আলী, মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ ভিকটিম রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান। এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে। তখন বাদী বলেন, আমি গরিব মানুষ, যা পারি জোগাড় করে নিয়ে আসছি। আপনারা আমার স্বামীকে বাঁচান। এরপর বাদী ২০ হাজার টাকা এনে সবুজের হাতে দেন। তখন বাদীকে এসআই মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বাদীকে গালিগালাজ করেন।

এসময় বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। বাদীকে পুলিশ পেটাতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে তার ছোট ছেলে রাতুল অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়। পরে পুলিশ বাদীকে কোর্টে যেতে বলে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ কোর্টে যান বাদী। ভিকটিম রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার গারদে যান তিনি। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী। এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে গিয়ে ভিকটিমকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন। জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়, ভিকটিম রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান। পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে। সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।

এমএসএম / এমএসএম

ছাড়া হচ্ছে না সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে, আদালতে পাঠানো হবে আজই

হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ

শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

ট্রাইব্যুনালে হাজির ১৫ সেনা কর্মকর্তা, নিরাপত্তা জোরদার

জোট করলেও নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে, হাইকোর্টের রায়

সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র : ৫ দিনের রিমান্ডে শওকত মাহমুদ

ইসির সিদ্ধান্ত অবৈধ, বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহাল

জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতন : অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১৪ ডিসেম্বর

শেখ হাসিনার ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জন ট্রাইব্যুনালে

শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু

পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ : আপিল বিভাগ

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা