চালের বাজারে চালবাজি

আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েও চালের বাজার নিয়ে থামানো যাচ্ছে না চালবাজি। চালের বাজারে অবৈধ মজুদদার ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমেনি। বেশি দামে বিক্রির জন্য মোটা চাল মেশিনে কেটে চিকন করে বাজারে তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম সঙ্কট। এখনো চালের বাজার ঘিরে উত্তাপ বেশ। কমপক্ষে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করতে যাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। শুল্কও কমানো হয়েছে। তারপরও চিকন চালের দাম সব শ্রেণির নাগালের বাইরে। কয়েক দিন আগে যে মোটা চাল ছিল ৫০ টাকা, সেটা এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকা।
রাজধানীর বাদামতলী-বাবুবাজারের চালের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবানি ঈদের আগে একদফা দাম বেড়েছিল। ঈদের পরও বেড়েছে। ৫০ কেজির বস্তায় ১৫০ টাকা এবং ২৫ কেজির বস্তায় ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিকে আমদানি করা চালের ওপর ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কাস্টম ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি রেগুলেটরি ডিউটি তথা আবগারি শুল্ক ২৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চালকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী জানিয়েছেন, মিলগেটে দাম বাড়েনি। ব্যবসায়ীদের ভাউচার দেখলেই সত্য বেরিয়ে আসবে। ধানের দাম কম, মিলেও চালের দাম স্থিতিশীল। মূলত দাম বাড়ছে হাতবদলের কারণে। তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এখন আমদানির চাল বাজারে এলে দাম এমনিতেই কমবে।
একই কথা বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও। গত বছরও আমদানি হলে দাম কমবে বলেছিলেন। আমদানি করা চাল গত বছর এসেছিল। আবার গত জুনেই ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত ছিল।
খাদ্যমন্ত্রী গত বছর বলেছিলেন, চাল নিয়ে কেউ কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত কারও লাইসেন্স বাতিল হয়নি। মন্ত্রী গত সোমবার (১৬ আগস্ট) আবারো সাংবাদিকদের বলেলেন, নিয়ম না মানা মিল মালিকদের মিলিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
কৃষি অধিদফতরের তথ্যমতে, এক দশক আগেও দেশে চালের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৫ লাখ টন। এখন (২০১৯-২০ অর্থবছর) ৩ কোটি ৮৭ লাখ টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পর থেকে প্রতি বছর চালের উৎপাদন প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টন করে বেড়েছে। গত বছর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ১২ লাখ টন চাল আমদানিও করা হয়েছে। এ বছরও ১০ লাখ টন আসতে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জানান, মিল মালিকদের কেউ কেউ আছেন, তাদের টাকা বেশি। তারা মজুদ করে। সেই চাল মিলে রাখে না। গোপন কোথাও মজুদ করে। সেটা আমরা ধরার চেষ্টা করছি। গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠিও দিয়েছি। আবার দেশে কিছু বড় কোম্পানি আছে তারা বাজার থেকে চাল নিয়ে প্যাকেটজাত করছে। এতেও সরু চালের ওপর প্রভাব পড়ছে। এসব নিয়ে করণীয় নির্ধারণের চিন্তাভাবনা চলছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, এক দশক আগে (২০১০-১১ অর্থবছর) প্রতি কেজি (মাঝারি মানের) চালের গড় দাম ছিল ৪১ টাকা, যা এখন ৬০ টাকা হয়েছে। গত অর্থবছরও (২০১৯-২০) প্রতি কেজি চালের গড় দাম ছিল ৫৬ টাকা।
জামান / জামান

পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক

বাণিজ্য ঘাটতি কমলে শুল্ক কমানোর আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

ফেব্রুয়ারির পর চলে যেতে হবে, মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই

মেডিকেল ভর্তিতে অটোমেশন : বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষা সেক্টর ধ্বংসের ষড়যন্ত্র

মাছের দাম চড়া, ভরা মৌসুমেও ইলিশ অধরা

পূবালী ব্যাংকে শেখ হাসিনার লকার জব্দ

বরবটি-করলার সেঞ্চুরি, কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

ব্রয়লার ১৬৫, ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া

৩০ বছর পর মাতারবাড়ী-মহেশখালীকে সাংহাই-সিঙ্গাপুরের মতো দেখতে চাই

এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

সবজির পর দাম বেড়েছে মুদি পণ্যের, চড়বে আলুর বাজারও

চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ১০০০ কনটেইনার বিক্রি
