রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি সব দেশের মতো বাংলাদেশেও হচ্ছে। একই কথা রিজার্ভেও। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা আপদকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। এত বেশি আলোচনার কারণে আজ প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন। এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। গাজায় গণহত্যা চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। যেখানেই যাই, এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছি। ইরানের প্রেসিডেন্ট মারা যাওয়ার ঘটনায় আমরা শোক জানিয়েছি। শোক দিবসও পালন করেছি। যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় নীতিতে কাজ করছি।
তিনি বলেন, সবচেয়ে সমস্যা ইনফ্লুয়েশন। এটা অনেক দেশের সমস্যা। এটা কমাতে পারলে ভালো হতো। রিজার্ভ আমাদের মতো অনেক দেশেরই কমে যাচ্ছে। আমাদের আপদকালীন সময়ের জন্য খাদ্য মজুত থাকলে রিজার্ভ কম কোনো সমস্যা না। তারপরও আমি এটা নিয়ে সচেতন করায়, এখন দেখি সবাই এটা নিয়ে কথা বলছে। এটা ভালো। অন্তত বললে, সবাই সচেতন থাকবে। আমি বলেছি, সবাইকে উৎপাদনে মনোযোগী হতে। নিজেদের চাহিদা পূরণে অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে বলেছি। গোপালগঞ্জে আমরা একটা সমিতির মাধ্যমে চাষাবাদ করেছি। সেখানে সবাই এটা করছে। এভাবে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনলে আমাদের খাবারের অভাব হবে না। বরং রপ্তানি করতে পারব। অবশ্য, এখনও সবজি-ফুল রপ্তানি হচ্ছে।
বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও, টেলিভিশন করে দেওয়ার পরও বলছে, কথা বলতে পারি না। ফেসবুকেও সমালোচনা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স। আমরাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সচেতন যে, কীভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্কুলে ছেলেদের সংখ্যা কমছে। মেয়েদের সংখ্যা বেশি। এবার মেয়েরা বেশি পাস করছে, ছেলেরা কম। এর কারণ খুঁজে বের করতে বলেছি। উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে আমরা সুবিধা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ২২ জেলা ও ৩৩৪ উপজেলা এখন ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত। বাকিগুলোও হবে। প্রত্যেক নাগরিক দুই শতক জমিসহ ঘর পাবে। কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, অভুক্ত থাকবে না। পাশাপাশি নিরক্ষরও থাকবে না। সবাইকে পড়াশোনার আওতায় আনব। বেকারও থাকবে না। কর্মসংস্থানের নানা সুযোগ সৃষ্টি করছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির অহমিকা ছিল, তারাই বড় দল। ২০০৮ এর নির্বাচন মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছে, সেটাই তাদের ক্ষোভ। এরপর ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে আসেনি। এরপর থেকে তো বাংলাদেশে নির্বাচনই হতে দেবে না, এমন অবস্থা। হ্যাঁ, কোনো এক সাদা চামড়া থেকে প্রস্তাব এসেছে, বাংলাদেশে তাদের ঘাঁটি করবে। সে সুযোগ দিলে তারা নির্বাচন করতে দেবে। আমি রাজি হইনি। আমি এই প্রস্তাব পাত্তা দেইনি, সোজা কথা। দেশের মানুষ আমাদের শক্তি। আমি তাদের ওপরই নির্ভর করি।
২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস বিক্রি নিয়ে অনেক দিন দেন-দরবার হয়। আমার একটাই কথা ছিল, দেশের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকলে বিক্রি করব। অত বড় দেশ, এমন কথা তো সহ্য করবে না, এটাই স্বাভাবিক। বৈঠক হলো... খালেদা জিয়া রাজি হলো গ্যাস বিক্রির। আমি রাজি হইনি। আমি বলেছি, গ্যাস বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে, এমন দৈন্যতা আমাদের নেই। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, দেশের স্বার্থ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব না। পরে কিন্তু ক্ষমতায় আসতে পারিনি।
বৈঠকে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতারাও অংশ নেন।
এমএসএম / এমএসএম
সশস্ত্র বাহিনীকে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান ড. ইউনূসের
ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসার জন্য বিএমইউতে জরুরি প্রস্তুতি
ইট আর মাটিতে চাপা পড়ে নিভল ৬ প্রাণ, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে আহত শতাধিক, অনেকের অবস্থা গুরুতর
‘সেনাবাহিনী পদক’ পেলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
ভূমিকম্পে রাজধানীতে নিহত ৩
ঢাকায় ভূমিকম্প, আফটার শক আতঙ্কে এখনো বাইরে অনেকে
এমন ভূমিকম্প ‘আগে দেখেনি’ রাজধানীবাসী
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলার ভবন, ধসে পড়েছে একাংশ
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
ঢাকায় সকাল শুরু ১৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায়, দিনভর থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত