ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

যে ভয়ানক কারণে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন রাজ্জাক


বিনোদন ডেস্ক photo বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১-৮-২০২১ সকাল ৯:৫২

বাংলা সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় নায়করাজ রাজ্জাককে। তার ঝুলিতে অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা, অসংখ্য নামিদামি পুরস্কার। জীবতাবস্থায় তিনি পেয়েছিলেন অসংখ্য ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা। এখনো তিনি চলচ্চিত্রের নায়কদের আইকন। কিংবদন্তি এই অভিনেতা ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে দুহাত ভরে দিয়েছেন, সমৃদ্ধ করেছেন। অথচ একসময় তিনি বাংলাদেশের কেউ ছিলেন না। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি তার জন্ম হয়েছিল ভারতের কলকাতায়। সেখানেই কেটেছিল শৈশব, কৈশোর। তাহলে কীভাবে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন, হয়ে উঠেছিলেন এ দেশের সিনেমার অবিচ্ছেদ্য অংশ? সেই ঘটনা হয়তো অনেকেরই অজানা।

সালটা ১৯৬৪। এপ্রিল মাস। ওই সময় রাজ্জাকের জন্মস্থান কলকাতায় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়াবহ এক দাঙ্গা শুরু হয়। যার জেরে ১৯৬৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এক হিন্দু বাড়িতে আশ্রয় নেন রাজ্জাক। পরের দিন চলে আসেন ঢাকায়। তার সঙ্গে ছিল স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে বাপ্পারাজ, পীযূষ বসুর দেওয়া একটি চিঠি এবং পরিচালক আব্দুল জব্বার খান ও শব্দগ্রাহক মণি বোসের ঠিকানা।

সে সময় স্ত্রী-পুত্রকে শরণার্থী শিবিরে রেখে রাজ্জাক দেখা করেন পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের সঙ্গে। তার আশ্বাস পেয়ে রাজ্জাক ৮০ টাকা মাসিক ভাড়ায় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে রাজধানীর কমলাপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন। পরে তিনি সুভাষ দত্ত, সৈয়দ আওয়াল, এহতেশামসহ আরও কয়েকজন চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরিচালক আব্দুল জব্বার খানই রাজ্জাককে ইকবাল ফিল্মসে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে আসার বছরই তিনি কামাল আহমেদের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে ‘উজালা’ চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ পান। সহকারী পরিচালক হিসেবে তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ছিল ‘পরওয়ানা’। কিন্তু ৮০ ভাগ কাজ হওয়ার পর তিনি এই ছবির কাজ ছেড়ে দেন।

পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে চিত্রনায়িকা সুচন্দার বিপরীতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন নায়করাজ রাজ্জাক। সেই থেকে শুরু। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৬০টি বছর। এই সময়ের মধ্যে তিন শতাধিক ছবিতে তিনি নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। নিজেকে নিয়ে যান অন্য এক উচ্চতায়। এছাড়া তিনি কলকাতায়ও ৩০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন।

প্রীতি / প্রীতি