জাককানইবিতে বন্ধ ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বিল ৩৪ লাখ টাকা

বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি)। করোনাকালীন সকল বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বন্ধ একাডেমিক (ক্লাস-পরীক্ষা), আবাসিক হল, লাইব্রেরি, প্রশাসনিক অধিকাংশ দপ্তর বন্ধ, অল্প কিছু দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য কার্যক্রম চলে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় খুবই অল্পসংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন ক্যাম্পাসের ডরমিটরিগুলোতে।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, তারপরও ৩৪ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে, যেখানে ক্যাম্পাস সচল অবস্থায়
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিল ছিল ৩৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের বিদ্যুৎ বিল ছিল ৩৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, দীর্ঘ সময় বন্ধের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বাবদ বিপুল অংকের এ খরচ দেখে হতবাক অনেকেই। অতিরিক্ত বিলের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করছে বলে মত অনেকের। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ বিল বাবদ বিপুল অংকের অর্থ খরচ সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আবার অনেকের মত, মিটার না দেখেই বিল তৈরি করছে বিদ্যুৎ অফিস। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেউ এ বিষয়ে তদারকি করে না। অনিয়ম না হলে সচল থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাসের যে বিদ্যুৎ আসত প্রায় সমপরিমাণ বিদ্যুৎ বিল এটা কখনই যুক্তিসঙ্গত নয়। কিছু একটা গাফলা রয়েছে বলে জানান অনেকে। এটা সরকারি অর্থের অপচয়, যা এড়াতে পারে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এখন কেবল আবাসিক হল, বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষাগুলো বন্ধ, নয়তো সব চালু; সেহেতু বিদ্যুৎ বিল এমনটা আসতেই পারে। সচল ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ বিল আর বন্ধ ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ প্রায় সমপরিমাণ কেন- এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, হ্যাঁ তা ঠিক, কিন্তু এই সকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী দপ্তর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টার পরেও ফোন রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে ফোন বন্ধ করে দেন।
তারপর নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে আমরা বলতে পারব না। যারা বিদ্যুৎ মিটার দেখে বিল তৈরি করে তারা বলতে পারবে অতিরিক্ত বিল কেন। আর আমরা প্রতি মাসে বিলে পে করে থাকি। একত্রে এক বছরের বিল কত আমাদের দপ্তর জানে না।
Bangladesh power Development Board (BPDB) ত্রিশাল ব্রাঞ্চের বিদ্যুৎ প্রকৌশলীকে অনেক ফোনের পর যোগাযোগ মিলে ফারুক হোসেন সাথে। তিনি বলেন, আমি কয়েক দিন যাবৎ অসুস্থ তাই ফোন রিসিভ করতে পারিনি। বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে আমি কিছু জানি না, যারা বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
এমএসএম / জামান

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু
