বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে সক্রিয় ভূমিকা
শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি শেকৃবি প্রশাসনের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে সরাসরি ভূমিকা রাখা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। গণঅভ্যুত্থানের সাড়ে চার মাস পরও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার। এমন অবস্থায় বিপক্ষে থাকা কিছু শিক্ষক কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ সরাসরি তাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। সহযোগী অধ্যাপক দেবু কুমার ভট্টাচার্য, ওয়ালী আহাদ সেতু ও মো. জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অংশ নেন ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোডাউনে। ছাত্রলীগের মিছিলে সরাসরি অংশ নেন আওয়ামীপন্থি একাধিক কর্মকর্তাও। সেই মিছিল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টাও হয়। সর্বশেষ ৪ আগস্টও শান্তি সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নেন এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা।
তারা আরও জানান, ওই শিক্ষকদের কয়েকজন এখনও কর্মস্থলে যোগ দেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করলেও প্রতিবেদন জমা পড়েনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের চার মাস পরও এসব শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তারা সংগঠিত হয়ে ফের তৎপর হওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তারা।
এদিকে আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া সাবেক কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রক্টর হারুন-অর-রশীদ, সহযোগী অধ্যাপক দেবু কুমার ভট্টাচার্য, রুহুল আমিনসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার কক্ষে সম্প্রতি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদলের কর্মীরা। এতে অংশ নেওয়া ছাত্রদল কর্মী জিব্রিল শরীফ বলেন, যেসব শিক্ষক ছাত্র আন্দোলনের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।
তবে ছাত্রদলের শেকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, শাখা ছাত্রদলের কমিটির সদস্য ছাড়া কারও কাজের দায়ভার সংগঠন নেবে না। আর ব্যক্তিগতভাবে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরফান আলী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। শিক্ষকদের কক্ষে তালা দেওয়া বা এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনতে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক ড. সালাহ উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তদন্ত শেষের দিকে। শিগগির সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
৫ আগস্টের পর অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান দাপ্তরিকভাবে জানালে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন
