ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

মিরপুর স্টেডিয়াম পাড়ায় মায়ের হাতের দেশীয় খাবার নিয়ে চলছে মেজবান বাড়ী ক্যাটারিং


ডেস্ক রিপোর্ট photo ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১-১-২০২৫ দুপুর ১:৪৩

জনবহুল এলাকা মিরপুরে ইদানীং রেস্টুরেন্টের কমতি নেই। ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশ ঘেঁষে মিরপুর-২ এ অনেক ফুডকার্ট পরিলক্ষিত হয়। চমকপ্রদ সব খাবারের এমন একটি ফুডকার্টের কথা বলা যাক। মিরপুর-২ ফায়ার ব্রিগেড পার হয়ে স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেটের সন্নিকটে মেজবান বাড়ী ক্যাটারিং সার্ভিস এর ফুডকার্ট। কী নেই সেখানে? এ যেন মায়ের হাতের রান্না, খাবারে যেন ঘরের স্বাদ লেগে থাকে! মেজবানী গরু, চুইঝাল গরু, আচারী কালাভুনা, হাঁস ভুনা, হান্ডি বিফ, হান্ডি হাঁস, হান্ডি চিকেন, ব্যাম্বু হাঁস, ব্যাম্বু চিকেন, চিকেন রোস্ট, ঝাল ফ্রাই, খাসীর চুইঝাল, খাসী ভুনা- ইত্যাদি নিয়মিতভাবে প্রতিদিন রান্না হয় এবং পাওয়া যায়। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রতি বৃহস্পতিবার পাওয়া যায় আস্ত কোয়েল এবং কবুতরের আইটেম। প্রশ্ন জাগে, এসব কী দিয়ে খেতে হবে? ধোঁয়া ওড়া গরম সাদা ভাত, পোলাও বা খিচুড়ী একদম যোগ্য সাথী। প্রতি প্যাকেজেই রসুন ভর্তা, শুটকি ভর্তা, ধনে পাতা ভর্তা থাকে এবং তা যত লাগে তত। বিকেল ৪ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব টাটকা খাবার বসে উপভোগ করা যায়, আবার পার্সেলও চলে। যারা একটু ঝাল পছন্দ করেন, তাদের জন্য এসব খাবার দারুণ উপভোগ্য। মাংস আইটেমগুলো চমৎকার ভাবে সিদ্ধ হয়, মশলার অনুপাত মানানসই। পরিমিত রান্না হয়, তাই অবশিষ্ট থাকে না তেমন। দিনের খাবার দিনেই শেষ।  

মূলত প্রবীণ টিটু মিয়ার সাথে কলেজ পড়ুয়া একঝাঁক শিক্ষার্থী এই ফুডকার্টটি এগিয়ে নিয়ে চলেছে। কথা হয় অন্যতম মালিক মোঃ আমিনুল ইসলাম রাকিব এর সাথে। সে আমাদের জানায়- "এই রোডে অনেক ফুডকার্ট হয়েছে। তাই প্রতিযোগিতা খুব বেশী। তবে আমরা চেষ্টা করি অধিক যত্ন নিতে এবং পরিমাণে খাবার একটু বেশী দিতে। আমাদের প্রতিটি আইটেম বাসায় প্রস্তুত করা হয়, নিয়ে এসে কেবল ফুডকার্টে বিক্রয় করি। ক্যাটারীং এর ব্যবস্থাও আছে। প্রতিটি খাদ্য উপাদান সলিড ও ভাল রাখতে আমরা মনোযোগী। মানবিক দিক বিবেচনায় থাকে আমাদের, সেজন্য অনেক অভাবী বা টাকা খুইয়ে বিপদে পড়া কেউ আমাদের ফুডকার্টে খেতে চাইলে আমরা সাধ্যমত আপ্যায়ন করে দেই।"

এমএসএম / এমএসএম