জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীর দাবির মুখে পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টায় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির জরুরি সভা শেষে এ ঘোষণা দেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। আজকে প্রায় সাত ঘণ্টা যাবৎ তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করেছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা আজ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করি। আলোচনায় তারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের ভূমিকা নিয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের মত দেয়। এরপর আমরা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় আলোচনা করে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল করি”
এ ঘোষণা শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, “ পোষ্য কোটাকে বাতিল ঘোষণা করায় উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ। আমরা দীর্ঘ সাত ঘণ্টা ধরে এখানে অবস্থান করার ফল আমরা পেয়েছি। এইজন্য আমরা আনন্দিত।”
শিবিরের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার জরুরি মিটিংয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একই সাথে প্রয়োজনীয় জীবনমান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করি এই কমিটি "ন্যায্যতা নিশ্চিত"–এর লক্ষ্যেই কাজ করবে। পোষ্য কোটা বাতিলের মতো দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই। ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাহাঙ্গীরনগর সবসময় অগ্রগামী ছিলো এবং থাকবে ইন শা আল্লাহ।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে দুইদিন ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে অনশন ভাঙান উপাচার্য। এদিকে পোষ্যদের কোটা সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার সকলে আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডা হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
এমএসএম / এমএসএম