ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

শাহী ইফতার বাজার ও ঘরোয়া বাংলা খাবারে জনপ্রিয় পল্টনের 'খানা বাসমতি' রেস্টুরেন্ট


ডেস্ক রিপোর্ট photo ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৮-৩-২০২৫ বিকাল ৫:২২

ইফতারে মুসল্লীরা ভিন্ন স্বাদের খাবার পরখ করতে চান। সেরকম ভিন্নতার ছোঁয়া নিয়ে এবার মাহে রমজানে খানা বাসমতি ইফতার বাজার বসিয়েছে এর রেস্টুরেন্ট প্রাঙ্গনে। ঢাকার বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ২০ বছর ধরে খানা বাসমতি অতিথিদের মুখরোচক খাবারের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আসছে। এবার ইফতারের মধ্যে আস্ত মোরগ মসল্লাম, চিকেন সাসলিক, চিকেন রোল, চিকেন টিক্কা, এগ রোল, রকমারী কাবাব, বিশেষ দই বড়া, শাহী বাটার নান এবং চিরায়ত খাসীর হালিম ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। এই আইটেমগুলোর দাম সুলভ, খেতে বেজায় সুস্বাদু। অন্যান্য স্বাভাবিক ইফতার আইটেম তো রয়েছেই। শুধু ইফতার বিক্রি দুপুর ২ টা থেকে শুরু হয়। হিসাব রক্ষক ও ব্যবস্থাপক মোঃ কাওসার জানান- “নিত্যদিনের ইফতার ও অন্যান্য খাবার দৈনিক রান্নাকৃত, তাই পচা বা বাসী খাবারের কোন সুযোগ নেই। আমাদের বাবুর্চি অত্যন্ত দক্ষ, পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ বিধায় খাদ্য স্বাদ ভাল হয়। পোড়া তেল ব্যবহার করা হয় না। স্টাফরা সবাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, তাদের আমরা কঠোর ভাবে দেখভাল করি। মূলত সেবার মানসিকতা নিয়ে খানা বাসমতির যাত্রা শুরু হয়, যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুস্বাদু বাংলা খাবার ক্রেতারা সুলভ মূল্যে পেতে পারে। এই ধারার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাচ্চু সাহেব, যিনি বেশ ধর্মভীরু।” 

দুই তলা মিলিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্টে ১৫০ জন লোক একত্রে বসে খেতে পারে। রমজানের বাইরে সকাল ৬ টা থেকে রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সব ঘরানার বাংলা খাবার পাওয়া যায় খানা বাসমতিতে। দুপুরের ভাত-মাছ, সবজি, গ্রীল চিকেন, ফালুদা অত্যন্ত মজার হয়ে থাকে। সুতরাং, খাদ্যপ্রেমী পাঠকগণ, রমজানে ইফতারের ভুঁড়িভোজন করতে এবং অন্য সময়ে ঘরোয়া বাংলা খাবারের স্বাদ নিতে যেতে পারেন পল্টনের খানা বাসমতিতে। বসে খাওয়ার পাশাপাশি যেখানে পার্সেল, ক্যাটারিং সুবিধাও আছে।

এমএসএম / এমএসএম