ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

ঘী'র ভুনা খিচুড়ি, ঝরঝরে কাচ্চি- সুস্বাদু বাংলা খাবারের সমারোহ হীরাঝিল হোটেলে


ডেস্ক রিপোর্ট photo ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৩-৫-২০২৫ রাত ৯:৩১

ঢাকার অফিস পাড়া মতিঝিলের নাম এলেই মানসপটে ভাসে হীরাঝিলের নাম। হীরাঝিল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের বিখ্যাত সব বাংলা খাবার খাদ্যপ্রেমীদের মাঝে অতুলনীয় সাড়া ফেলেছে বিগত ২৪ বছর ধরে। এর ভুনা খিচুড়ি ঢাকায় শীর্ষস্থানীয়। এক টুকরো বড় খাসীর মাংস আর মাখা-মাখা তুলতুলে খিচুড়ির মিশ্রণ; সাথে বিভিন্ন মশলা, ঘী, ধনিয়া পাতার আলিংগনে এই খিচুড়ির স্বাদ উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারো নেই। এরপর আসে চিনিগুঁড়া কাচ্চি  বিরিয়ানীর কথা। অধিক মশলা কিংবা রঙের আধিক্য নেই এই বিরিয়ানীতে। খাসীর মাংস বরাবরের মতই নরম, মুখে নিতেই গলে যায়। মৃদু ঝালের ঝরঝরা পোলাওতে ঘী'র সুঘ্রাণ বিদ্যমান।

হীরাঝিলের চিংড়ি ভুনা, রুই দোপেঁয়াজা, সরিষা ইলিশ, বাইন ভুনা, চিতলের কালিয়া সহ সমস্ত মাছের আইটেম দুর্দান্ত হয়। গন্ধহীন সতেজ মাছের তরকারী শেফের রান্না কারিশমায় অতুলনীয় হয়ে ওঠে। ধোঁয়া উড়া সাদা ভাতের সাথে এসব জম্পেশ লাগে। এরপর মৃদু মিষ্টি স্বাদের গরুর লাল-কালো ভুনা, খাসীর রেজালা, মুরগী মসল্লাম ইত্যাদি আইটেম সাদা পোলাওর সাথে বেশ যুতসই। আর, হীরাঝিলের ফালুদা, মিষ্টি আইটেম, যাবতীয় কাবাব আইটেম এবং সেরা চা-কফির কথা আরেকদিন হবে।

মূলত, হীরাঝিল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ঢাকার অফিস পাড়া মতিঝিলে শাপলা চত্তরের পাশে ২০০১ সালে শুভ যাত্রা করে। অল্পদিনে উন্নত খাদ্যমান ও সুস্বাদের কারণে নাম ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। নীচতলা-উপর তলা মিলে ২০০ জন একত্রে খাবার উপভোগ করতে পারে। ২য় তলার পরিবেশ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে রাত ১২ টা অবধি খোলা থাকে হীরাঝিল, পাওয়া যায় সব ধরণের খাবার। ম্যানেজার মো: চৌধুরী এবং ডেপুটি ম্যানেজার মো: আরেফিন এর চৌকস নেতৃত্তগুণে হীরাঝিল খাদ্যপ্রেমীদের মাঝে হয়ে উঠছে ব্যস্ত থেকে ব্যস্ততম।

এমএসএম / এমএসএম