ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

দেশের প্রথম পেশওয়ারী বিফ আইটেম দিয়ে চমক দেখাচ্ছে সুমন মিয়া’র আবেশ হোটেল


ডেস্ক রিপোর্ট photo ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৩-৬-২০২৫ দুপুর ৩:৫৪

পাকিস্তানের নেহারী ও কাবাবের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তবে বাংলাদেশের ঢাকায় ইদানীং একটি চমক সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমবারের মত পেশওয়ারী বিফ দিয়ে সুমন মিয়া’র আবেশ হোটেল ও বিরিয়ানী হাউজ একদম হুলস্থুল সাড়া ফেলে দিয়েছে। 

২৮ বছরের চাক্ষুস অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বাংলা খাবারের নির্ভরযোগ্য বাবুর্চি মোঃ সুমন মিয়ার অসাধারণ আবিষ্কার এই পেশওয়ারী বিফ। ঢাকার বনশ্রী শাখায় তাক লাগানো সাড়া পড়ে গেছে এই আইটেম দিয়ে, যদিও আবেশ হোটেল মিরপুর এলাকায় খুব শক্ত অবস্থানে রয়েছে। পাকিস্তানের অথেন্টিক ধাঁচের এই বিফ অত্যন্ত সরল রেসিপিতে প্রস্তুতকৃত। প্রথমে নল্লীর হাড় সহ মাংসের বড় পিস সিদ্ধ করা হয় লবণে৷ এরপর ঘী ও দু'একটি হালকা মশলার মিশ্রণে প্রস্তুত হয় এই পেশওয়ারী বিফ আইটেম। মো: সুমন মিয়া তার এই চমকপ্রদ রেসিপির ব্যাপারে এমনটাই জানান। নান রুটি, পরাটা বা রুমালী রুটির সস্থে জম্পেশ লাগবে এই বিফ আইটেম। দাম একটু বেশী প্রতিভাত হলেও, স্বাদ ও পরিমাণে বিরাট কিছু এই আইটেমটি। খেতে নোনা স্যুপের মত লাগে অনেকটা, সাথে বড় সিদ্ধ আলুর টুকরা, নল্লীর মগজ, ধনিয়া পাতার জড়াজড়ি অপূর্ব স্বাদের অবতারণা করে। বনশ্রী শাখাটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। উল্লেখ্য, আবেশ হোটেলের অন্য তিনটি শাখাতে যেসব সুস্বাদু খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে- দেশী মুরগী ও হাঁস ভুনা, দারুণ মজার গরুর বট ভুনা, দুপুরে খাওয়ার জন্য দেশী নদীর মাছের সমারোহ এবং খাঁটি দুধে প্রস্তুতকৃত গাজরের হালুয়া বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এসব খাবার চোখের ধাঁধা, মনের নেশা ও জিভের পানি।     

বাংলাদেশে পেশওয়ারী বিফের জনক মোঃ সুমন মিয়া বলেন- “মানুষের মুখে মুখে আবেশের হান্ডি বিফের সুনাম ছড়ানোর পর সময়ের সাথে ৩ টি শাখা মিরপুরেই হয়েছে গত ৪ বছরে। রামপুরা বনশ্রীতেও একটি শাখা জনচাহিদার কারণে খুলতে হল। এখানে অন্যান্য খাবার আইটেমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আমার এই পেশওয়ারী বিফের চাহিদা। দিনের খাবার দিনেই শেষ হয়ে যায়, তাই সময় ক্ষেপণ হলে ক্রেজ আইটেম পেশওয়ারী বিফ অনেক দিন পাওয়া যায় না! মূলত আবেশ হোটেল চেষ্টা করে রান্নার সময় সেরা উপকরণ দিতে এবং দাম অনুপাতে খাদ্যের পরিমাণ একটু বেশী দিতে। মানবিক দিকটাও বিশেষ বিবেচনা করি আমরা। সেজন্য অনেক অভাবী বা টাকা খুইয়ে বিপদে পড়া কেউ আবেশ হোটেলে খেতে চাইলে আমরা বিনে পয়সায় সাধ্যমত আপ্যায়ন করে দেই।"

এমএসএম / এমএসএম