জবির নতুন ক্যাম্পাস নিয়ে আন্দোলন, উপাচার্যের কক্ষের সামনে বিশৃঙ্খলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে করার দাবিতে উপাচার্যের অফিস কক্ষের সামনে স্লোগান দিয়ে আন্দোলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী কয়েকজন নেতাসহ বেশকিছু ছাত্রলীগকর্মী। এ সময় তারা উপাচার্যের কক্ষের সামনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন এবং সামনে থাকা একটি গাছের টব ভেঙে ফেলেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সাথে উচ্চবাচ্যের একপর্যায়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। এতে পরিস্তিতির আরো অবনতি ঘটে এবং বিশৃঙ্খল হলে প্রক্টরিয়াল বডিসহ বেশকিছু শিক্ষক এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের কাজ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে করার দাবিতে ছাত্রলীগের ২০১৯ সালের সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল আলম টিটোন ও কয়েকজন যুগ্ম-আহ্বায়কসহ কিছু ছাত্রলীগকর্মী দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের অফিসের সামনে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তাদের থামাতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির একজন শিক্ষকের সাথে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এর একপর্যায়ে ভিসি ভবনের সামনে থাকা গাছের টব ভেঙে ফেলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষক বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীসহ অন্যরা ভালো একটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে। কিন্তু এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি-না সেটিও দেখার বিষয়। তারা হয়তো মনে করেছে নতুন ভিসি এসেছেন, তাকে ধমক দিয়ে কিছু আদায় করা যায় কি-না। তবে ভিসি স্যার সেরকম নন যে ধমক দিলেই কাজ হয়ে যাবে। তাদের বারবার তাদের দাবির বিষয়গুলো লিখিতভাবে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা দেয়নি। এ থেকে বোঝা যায় তাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকলেও থাকতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের আন্দোলনের বিষয় নিশ্চয়ই ভালো। কিন্তু তাদের আন্দোলনের জন্য যে পদ্ধতি বেছে নিয়েছে তা মোটেও ভালো ছিল না। তারা বিষয়টিকে আরো গুছিয়ে বলতে পারত কিংবা ভিসি স্যারের কাছে তুলে ধরতে পারত কিন্তু সেটি না করে তারা যেভাবে স্লোগান দিয়েছে এবং ভাঙচুরের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তাতে আন্দোলনের ভালো উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। তাদের আন্দোলনের মোটিভ দেখে মনে হয়েছে এর পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য নতুন ক্যাম্পাসের কাজ নয় বরং অন্যকিছু।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২০১৯ সালের সম্মেলন কমিটির ১ নম্বর যুগ্ন আহ্বায়ক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ২ বছরের সময় বাড়িয়ে ৪ বছর হয়ে গেলেও এখনো মাস্টার প্লান তৈরি করতে পারেনি প্রশাসন। তবে এখন তারা মাস্টার প্ল্যানসহ সব কাজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে চায়। এতে নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের কাজটি হয়তো গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর পেতে পারেন। ফলে এটি দীর্ঘ মেয়াদী হবে। তাই আমাদের দাবি ছিল যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ তত্ত্বাবধানে কাজটি করেন। টব ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, স্লোগান দেয়ার সময় হয়তো কারো কারো সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যেতে পারে। আমাদের কেউ এমন করেনি।
এ বিষয়ে জানিতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কাজের ব্যাপারে বা ভিসি স্যারের কাছে কোন দাবি থাকলে সেটি লিখিত জানানোর জন্য বারবার ভিসি স্যার বলেছে। কিন্তু তারা কোন ধরনের লিখিত দাবি করেননি। আজকেও ভিসি স্যার তাদেরকে লিখিত দাবি দেয়ার জন্য বলেছেন।
তবে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে নতুন ক্যাম্পাসের বাউন্ডারি ওয়াল বাবদ ৩০ কোটি টাকার টেন্ডার ইস্যুতে শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের কয়েকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনায় জড়ান বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা পদপ্রত্যাশীদের অনুসারীরা।
এমএসএম / জামান

জবি ছাত্রদল নেতা খুনে ক্ষোভ, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্থগিত ও দুই দিনের শোক ঘোষণা

অগ্নি দুর্ঘটনা: শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলল মাউশি

বর্ষা মাহিরের প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক

'ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড' শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপহার সামগ্রী দিল জবি শিবির

মতামতবিহীন মতবিনিময় সভায় পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান: সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাধা

‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন

২০ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অর্জন, সংকট ও নতুন স্বপ্নে একুশে পদার্পণ

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষকদের সম্মানী

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
