গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস মেলাইটাস

ডায়াবেটিস গর্ভকালীন সময় যে হয়, তাকে বলে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস বা প্রেগনান্সি ডিপেনডেন্স ডায়বেটিস। ডায়াবেটিস আরো কয়েক রকম আছে, যেমন জুভেনাইল ডায়বেটিস, শিশুবয়স থেকে হতেপারে। এদের প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল নষ্ট হয়ে যায়, ফলে ইনসুলিন শরীরে তৈরি হয়না বাইরে থেকে ইনসুলিন দিতে হয়।
আরেক প্রকারের আছে, ম্যাচুরিটি অনসেট ডায়বেটিস, এগুলো মানুষের বয়স ষখন বাড়ে, ৪০ সের কাছাকাছি সময় হয়, তখন হয়। এইধরনের ডায়বেটিস কিছুটা বংশগত! গর্ভ কালে যে ডায়বেটিস হয়, গর্ভের সময় প্রথম সনাক্ত হয়,, গর্ভের পুর্বে ও পরে তাদের কোন লক্ষন
থাকে না, এই ধরনের ডায়বেটিস কে বলা হয় প্রেগনেন্সি ডায়েবিটিস, বা জেস্টেশনাল ডায়বেটিস ম্যালাইটাস।
কোন ধরনের নারীদের হওয়ার বেশি সুযোগ আছে এই জেস্টেশনাল ডায়বেটিস? যারা ওবেজ বা স্থুল, মানে ওজন বেশি যাদের।যাদের বাচ্চা জন্মের সময় বেশি ওজন নিয়ে জন্মায় আমাদের দেশের বাচ্চারা মোটামুটি আড়াই থেকে তিন কেজি ওজন নিয়ে বাচ্চা জন্মগ্রহন করে।যদি সারে তিন অথবা চার কেজি ওজন হয় বাচ্চার তখন ডায়বেটিস সন্দেহ করা হয় ঐ গর্ভবতী মা ডায়বেটিসে আক্রান্ত।যাদের ডেলিভারির সময় মরা বাচ্চা হয়।যাদের কষ্টকর প্রসব হয়, বাচ্চা বড় থাকার জন্য।যাদের বার বার প্রস্রাবের নালীতে প্রদাহ হয়।যাদের যোনীপথে বার বার চুলকানি হয় সাথে সাদা স্রাব যায়,( মনিলিয়াল ভ্যাজাইনাইটিস) তাদের ডায়বেটিস আছে অথবা হতে পারে বলে ধারনা করা হয়।
ডায়বেটিস থাকলে, সে কি গর্ভ ধারন করতে পারবে?
তাকে অবশ্যই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে এনে তারপর বাচ্চা নিতে পারবে। সেইজন্য যদি কারো ডায়বেটিস থাকে তাকে প্রি কাউন্সিলিং এ যেতে হবে, মানে
ডাঃ এর কাছে পরামর্শ নিয়ে তারপর প্রেগনান্সি নেবে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ না করে গর্ভবতী হলে, তার প্রথম তিনমাসের মধ্য বাচ্চা জন্মগত ত্রুটি হতে।পারে, তাছারা প্রেগনান্সি নাও হতে পারে।ডায়বেটিস সনাক্ত কিভাবে করবে! ফাস্টিং বা না খেয়ে রক্ত পরীক্ষা খাওয়ার দুই-ঘন্টা পর রক্ত পরিক্ষা। সন্দেহ জনক হলে, ওগরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট।
ডায়বেটিস মায়েদের গর্ভকালীন পরিচর্যা কেমন হবে।
স্বাভাবিক গর্তবতীর নিয়মেই পরিচর্যা হবে, তবে কোন কোন ক্ষেত্র বিষেশে আরো থনঘন ভিঝিট দেয়া লাগতে পারে। প্রত্যেক চেকআপে তাকে ব্লাড সুগার চেক, প্রেসার চেক-আপ, তার প্রস্রাবে ইনফেকশন আছে কিনা প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হবে। মনিটর করতে হবে, বাচ্চা ও তার মাকে। তার ওজন
কেমন বাড়ছে, ফান্ডাল হাইট,মানে বাচ্চা ঠিকমত জরায়ুর মধ্যে বাড়ছে কিনা। বাচ্চার ওজন, তার হার্ট বিট দেখতে হবে।তাদের খাবার মোটামুটি ২০০০ থেকে২৫০০ ক্যালরির মধ্যে দিতে হবে। তার ৫০% শর্করা, বাঁকি অর্ধেক প্রটিন ও চর্বি জাতীয় , খাবার। সাথে শাকসব্জী , ভিটামিন যুক্ত খাবার তাদের লোহ জাতীয় খাবার ক্যাপসেল আকারে দিতে হবে, সাথে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম চলবে যথারীতি। ডায়বেটিস সনাক্ত হওয়ার সাথে সাথে তাদের ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে নইলে বাচ্চার উপর ইফেক্ট পরবে, জন্মগত ক্রটি হতে পারে। তাছাড়া ইনসুলিন গর্ভফুল ক্রস করতে পারেনা,
তাছাড়া ডায়বেটিস সুদক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে।পারে।
ডায়বেটিস মায়েদের ৩৬ সপ্তাহে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিতে হবে।অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস থাকলে শেষের দিকে বাচ্চা ডেলিভারির আগেই পেটের
মধ্যে মারা যেতে পারে।
ডায়বেটিস প্রেগনানসিতে কি কি অসুবিধা হয়
বন্ধাত্ত, বাচ্চা না-হওয়া বার-বার এবোরশন,বা গর্ভপাত অবাত্তি বাচ্চা প্রসব প্রি একালামসিয়া পানিঠুুসিতে অতিরিক্ত পানি জমা।প্রসবের সময় বড় বাচ্চার জন্ম দেয়ার জন্য ইনজুরি বা দেয়ার হতে পারে।পোস্ট পারটাম, বা প্রসব পরবর্তী রক্ত ক্ষরণ।প্রসবপর্বতি ইনফেকশন
বাচ্চা বড় হওয়া তুলনামূলক ভাবে বাচ্চার শ্বাষকষ্ট বাচ্চার মৃত্যু।
গর্ভবতীদের ডায়বেটিস চিকিৎসা
চিকিৎসা নির্ভর করছে, ব্লাড সুগার এর উপর যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ডায়েট ও এক্মারশাইজ। সেই সব প্রেগন্যান্সি ডেট পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায়।
তারপর না হলে ডেলিভারি করতে হবে, কোন সুবিধাজনক ভাবে। তবে স্বাভাবিক ডেলিভারি এ ক্ষেত্রে বেশি ভাল, কারন ইনফেকশন বেশি হয় তাই।
আর যারা ইনসুলিন দ্বারা নিয়ন্ত্রণে রাখে তাদের ৩৭ সপ্তাহ হলেই ডেলিভারির ব্যাবস্থা করতে হবে নইলে বাচ্চা পেটের মারা যেতে পারে। ডায়বেটিস রোগীদের বাচ্চা ডেলিভারির সময়বাচ্চার নাড়ী লম্বা করে কাটতে হবে ৭ থেকে ১০ সেমি অবাত্তি বাচ্চাকে সাথেসাথে ইনকিউবেটরে রাখতে হবে। আধা ঘন্টার মধ্য মায়ের দূধ শিশুকে খাওয়াতে হবে। শিশুর ব্লাড সুগার একঘন্টার মধ্য করতে হবে।তাছাড়া শিশুর রক্তে সুগার কমে হাইপোগ্লাইসিমা হতে পারে।এই ডায়বেটিস শিশুদের নানা সমস্যা হয়ে থাকে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
এমএসএম / এমএসএম

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৩৬

স্বাস্থ্যখাতে ‘দুর্নীতির হোতা’ মিঠু গ্রেপ্তার

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০০ ছুঁইছুঁই

সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, নতুন ব্যাখ্যায় নিহত ৩৪

বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭ রোগী

ডেঙ্গুতে ঢাকায় কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৮

বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষায় অশনি সংকেত অটোমেশন; ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ
