ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দুধ-জুসে কি শিশুর দাঁতে ক্যাভিটি হয়?


ডেস্ক রিপোর্ট  photo ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৫-৭-২০২৫ বিকাল ৭:৩১

আপনার শিশুসন্তান দিনে একাধিকবার মিষ্টি দুধ ও জুস খেয়ে থাকে। এতে দাঁতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দাঁত ঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে ক্যাভিটি হতে পারে, যা পরে দাঁতের পচন ও ব্যথা হয়। এর ফলে দন্ত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

সেজন্য চকলেট, টফি, বিস্কুট, চিপস—এসব খাবার আপনার শিশুসন্তানের কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ এসব খাবার ছোটদের ভীষণ পছন্দের। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, শুধু এগুলোই নয়, মিষ্টি, দুধ ও জুসও দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় বাবা-মা ভালো মনে করে বারবার শিশুদের দুধ ও জুস খাওয়ান, যা দাঁতের ক্ষতি করে।

এইমসের দিল্লির দন্ত শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র সম্প্রতি ডেন্টাল হাইজিন বিষয়ে ‘হেলদি স্মাইল’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কেবল চকলেট বা টফি নয়— এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলোর কারণে দাঁতে ক্যাভিটি হতে পারে—এর মধ্যে মিষ্টি, দুধ ও জুসও রয়েছে।

এইমসের দন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, যদি আপনার শিশুসন্তান দিনে তিনবারের বেশি মিষ্টি, টফি, ক্যান্ডি, বিস্কুট, চিপস, দুধ, জুস, কোল্ড ড্রিংক, চা কিংবা ফ্রুট ড্রিংক খায় এবং দাঁত পরিষ্কার না করে, তাহলে ধীরে ধীরে ক্যাভিটি শুরু হয়।

প্রথমে দাঁতের ওপরে জমা হয় সুগার ও স্টার্চ, যা মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ধ্বংস করতে থাকে এবং একসময় দাঁতে গর্ত কিংবা ‘ক্যাভিটি’ তৈরি হয়, যা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, যদি আপনার শিশুসন্তান মিষ্টি, দুধ কিংবা জুস পান করে এবং পরে দাঁত না মাজে, তাহলে দাঁতের মধ্যে পোকা বা ক্ষয় শুরু হতে পারে। শুধু দুধের দাঁত নয়, ছয় বছর বয়সে ওঠা স্থায়ী দাঁতও এর শিকার হতে পারে। তাই মিষ্টি খাওয়ানোর পর দাঁতের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ এ সময়েই দাঁতের যত্ন শুরু করলে পরবর্তী জীবনে সমস্যার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

শুধু আপনার শিশুসন্তানই নয়, বড়রাও খাবার খাওয়ার পর যদি দাঁত পরিষ্কার না করেন, সকালে কিংবা রাতে ব্রাশ না করেন, তাহলে তারাও দাঁতের পচন ও ব্যথার শিকার হতে পারেন। ভবিষ্যতে এ সমস্যা আরও ভয়ানক রূপ নিতে পারে। তাই দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য শিশু ও বড়দের উচিত— মিষ্টি খাবার ও পানীয় গ্রহণের পরপরই দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করা এবং নিয়মিত ব্রাশ করা। মুখের স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

 

এমএসএম / এমএসএম