বেরোবিতে মুলা চাষ নিয়ে কেনো এত আলোচনা!
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সম্প্রতি ‘মুলা চাষ’ শব্দটি যেন হয়ে উঠেছে সমসাময়িক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে এটি কোনো কৃষি গবেষণার অংশ নয়—ছাত্রদের কণ্ঠে এটি এক প্রকার ব্যঙ্গাত্মক প্রতীক, যা দিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানাবিধ কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রম যেমন গত১৬ জুলাই ড্রোন শো আয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও সেটা কার্যকর না হওয়া,শূন্যে ঝুলানো হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, তদন্ত কমিটির কার্যকারিতা, লেজুরবৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষেধাজ্ঞা, ছাত্র সংসদের অনুপস্থিতি এবং বাস কেনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তারই প্রতীক হয়ে উঠেছে “মুলা”।
ড্রোন শো: বেরোবিতে ১৬ জুলাই শহীদ দিবসে ১১শ ড্রোন উড়ানো কথা ছিল।কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারনে সেটা সম্ভব হয়নি।উপাচার্য বলেছিলেন যে সামনে ৫আগষ্ট বিজয় দিবসে হবে।কিন্তু সেটা ছিলো চিড়ে ভিজানো কথা।কোনো ড্রোন শো ত দূরের কথা একটি আলোকসজ্জা হয়নি।শিক্ষার্থীরা এটাকে মুলা ঝুলানো বলে আক্ষ্যায়িত করেছে।
১০০০ কোটির উন্নয়ন প্রশ্নের মুখে:
বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ইভেন্ট আয়োজনের নামে কোটি কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হলেও শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক সমস্যা, ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সংকট কিংবা গবেষণার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়নি বলেই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
তদন্ত কমিটি মানেই সময়ক্ষেপণ :
বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম, যৌন হয়রানি,মার্ক টেম্পারিং স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি কিংবা দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।যদিও গত ৪ আগষ্ট যৌন হয়রানির দায়ে একজন শিক্ষক কে বহিষ্কার করেছে কিন্তু অন্য একজন শিক্ষক কে একই ঘটনায়, একই অভিযোগে তদন্ত কমিটি করেই শেষ করেছে। কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ফলে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে উঠে আসছে, তদন্ত মানেই সময় নষ্ট, আর আমাদের ধরিয়ে দেওয়া হয় একটা বড় মুলা!”
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, ছাত্র সংসদও নিষ্ক্রিয়:
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই। ছাত্র সংসদ নেই, মতামতের জায়গা নেই।একজন সিন্ডিকেট মেম্বার হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে খেলার উদ্বোধন করে।অথচ প্রশাসন লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল।
বাস ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও এখনো অনিশ্চিত:
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন বাস ভাড়া নেওয়ার কথা হলেও এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন—বাস কবে চালু হবে, কোন রুটে চলবে—এসব বিষয়ে কোনো স্বচ্ছতা নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মুলা’ এখন ট্রেন্ড
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে ‘মুলা চাষ’ এখন ভাইরাল আলোচনার বিষয়। শিক্ষার্থীরা মিম, ভিডিও এবং ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমকে ট্রল করছেন।
উল্লেখ, বেরোবিতে মুলা চাষ" এখন আর কৃষি সংশ্লিষ্ট কোনো প্রকল্প নয়। এটি হয়ে উঠেছে ছাত্রসমাজের হতাশা, কৌতুক ও প্রতিরোধের প্রতীক। তারা বলছেন, যখন প্রশ্নের জবাব মেলে না, তখন প্রতীকই হয়ে ওঠে প্রতিবাদের ভাষা।
এমএসএম / এমএসএম
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন
শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ
দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল
জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদল সমর্থিত "ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান" প্যানেল ঘোষণা,
এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ
বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা
স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা, অভিভাবকদের আপত্তি