ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে চীনের ভূমিকা ছিল অনন্য: জাতিসংঘ মহাসচিব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২-৯-২০২৫ দুপুর ১:৫০

সিএমজি’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একাধিক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেছেন, আগ্রাসনকারীদের বর্বরতা মানবজাতির জন্য বিশাল দুর্ভোগ নিয়ে এসেছিল, বিভিন্ন দেশকে ইতিহাস স্মরণ করতে হবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ফলাফল রক্ষা করতে হবে এবং হাত মিলিয়ে বিশ্বশান্তি ও উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস: একটি ধারণা রয়েছে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৩৯ সালে শুরু হয়ে ১৯৪৫ সালে শেষ হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে, চীনে, জাপানের ব্যাপক আক্রমণ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রকৃত সূচনা। এটা স্বীকার করতে হবে যে, চীন দীর্ঘকাল ধরে জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে, বহু বছর ধরে একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছে, জাপানকে দুর্বল করতে মৌলিক অবদান রেখেছে এবং শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে জাপানের পরাজয়ের দিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। বলা যায়, চীনের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং চীনসহ মিত্রশক্তির বিজয়ের চাবিকাঠি ছিল।
একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেন যে, ইতিহাসের শিক্ষা মানুষকে সতর্ক করে যে, শুধুমাত্র অতীতকে স্মরণ করে কেবল ভুলের পুনরাবৃত্তি এড়ানো যায় এবং একসাথে রক্ষা করা যায় এই মূল্যবান শান্তি।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো: শুধুমাত্র ইতিহাস স্মরণ করেই বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়। যদি ভুলে যাওয়া হয়, তাহলে বিপর্যয় অবশ্যই ফিরে আসবে। তাই আমরা চীনের জনগণ ও সরকারের সাথে পবিত্রভাবে এই বিজয়ের স্মৃতি রক্ষা করছি। এ জন্য, আমি চীনা পক্ষকে আমাদের প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই, শুধুমাত্র সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনেই নয়, বরং মহান বিজয়ের স্মরণীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার মহাসচিব ইয়ারমেকবায়েভ: সদস্য দেশগুলো একমত যে আমাদের ইতিহাস স্মরণ করতে হবে, ইতিহাসকে দর্পণ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে এবং ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। চীনের একটি প্রবাদে বলা হয়, ইতিহাসকে আয়না হিসেবে ব্যবহার করলে উত্থান-পতনের কারণ বোঝা যায়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চীনা জনগণের ইতিসাহ স্মৃতি উত্তরাধিকার পদ্ধতিকে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি দেয়, মনে করে এটি বিভিন্ন দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এবং প্রতিফলিত হয়েছে জাতীয় পুনরুজ্জীবনের উপর ইতিহাসের শিক্ষার গভীর তাৎপর্য

ফিজির স্পিকার জিটোকো: আমি সব সময় ইতিহাসের অনুরাগী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয় আমি সবচেয়ে বেশি পড়েছি। আমি শাংহাইয়ে জাপানি সৈন্যদের দখলদারিত্বের ইতিহাস পড়েছি, যা আমার উপর গভীর ছাপ ফেলেছে। শাংহাইয়ে সংঘটিত জনহত্যা চীনা জনগণের জন্য বিপুল দুর্ভোগ নিয়ে এসেছিল।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো: এ ইতিহাস প্রতিফলিত হয়েছে যে, একটি জাতি যখন তার আধ্যাত্মিক শক্তি ও নৈতিক সহনশীলতার সম্পদের শক্তিতে অনেক বলিয়ান হয়, তখন তারা কীভাবে ইস্পাত কঠিন ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে আগ্রাসনের প্রতিরোধ করে। তা শুধু একটি দেশের ভাগ্য পুনর্লিখন করে তাই নয়, বরং মানবজাতির অগ্রগতিকেও চিহ্নিত করে।

সেনেগালের প্রধানমন্ত্রী সিদিকি কাবা: আমাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করার বিষয়টি হচ্ছে, চীনা জনগণ কীভাবে ইতিহাসকে লালন করে এবং স্মৃতি-উত্তরাধিকার করে। এই ইতিহাসের দিকে সম্মান ও অব্যাহত স্মরণের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষ সঠিক জ্ঞান ও ঐতিহ্য স্থানান্তরের ভিত্তি। চীনা জনগণ তাদের নিজের ইতিহাস স্মরণ করে, এটিকে জাতীয় একতার বন্ধনীতে পরিণত করেছে, এবং চীনা জনগণকে অনুপ্রাণিত করার, অগ্রসর হওয়ার এবং পুনরুজ্জীবন বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে কাজ করছে।

এমএসএম / এমএসএম

ট্রাম্পের শুল্কে বিপর্যস্ত দিল্লি, প্রতিশোধ নয় নতুন বাজার খুঁজছে ভারত

পশ্চিম তীর দখল নিয়ে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা আরব আমিরাতের

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর: আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি এসসিও নেতারা

পাকিস্তান থেকে ভারতে গিয়ে মিলল না নাগরিকত্ব, রাষ্ট্রবিহীন দুই বোন

ভুয়া ভোটার ধরা পড়তেই কোণঠাসা বিজেপি

মালয়েশিয়ায় রাতের আঁধারে ব্যাপক ধরপাকড়, ৪০০ বাংলাদেশি আটক

মোদি দেশের সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না, হুঁশিয়ারি রাহুলের

বিশ্ববাজারে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায়, কমেছে ডলারের মূল্য

জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে চীনের ভূমিকা ছিল অনন্য: জাতিসংঘ মহাসচিব

বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে নতুন মাত্রা যোগ করল থিয়েনচিন ভ্রমণে ফার্স্ট লেডিরা

সুদানে ভয়াবহ ভূমিধস, নিশ্চিহ্ন পুরো গ্রাম, ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু

বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে চীন-বেলারুশ যৌথ উদ্যোগ

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠনে অঙ্গীকার