ত্বকে বয়সের ছাপ কমাবে যেসব পানীয়

বলিরেখামুক্ত উজ্জ্বল ত্বক চান না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া হয়তো খুব কঠিন। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিংবা কাজের চাপে হারাতে থাকে ত্বকের উজ্জলতা। আপনি কি জানেন, অভিনব ক্রিম বা দামি সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনের খাবার ত্বককে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে আপনার সহায়ক হতে পারে কিছু পানীয়। যে অভ্যাস খুব সহজেই আপনার ত্বককে করবে মসৃণ আর কমাবে বয়সের ছাপ। আসুন জেনে নেয়া যাক— 
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবারই এর সমাধান। এই প্রোটিন ত্বককে তরুণ এবং মসৃণ দেখায়। পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের শরীরে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্যকারী পুষ্টি উপাদানগুলো হলো, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার। যে উপাদানগুলো থাকে প্রাকৃতিক কিছু পানীয়তে। যেমন—
ডাবের পানি
২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরে প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন তৈরির জন্য অপরিহার্য। ডাবের পানি পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে পরিপূর্ণ, যা ত্বকের কোষগুলোকে সুস্থ এবং হাইড্রেটেড রাখে। প্রতিদিন এক গ্লাস ডাবের পানি আপনাকে মসৃণ এবং বলিরেখামুক্ত ত্বক দিতে পারে।
ডালিমের রস
২০০৬ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, তাজা ডালিমের রস পান করলে কোলাজেনের ভাণ্ডার রক্ষা করে বলিরেখা কমানো যায় এবং ত্বকের দৃঢ়তা বজায় রাখা যায়। এটি হাইড্রেশন এবং উজ্জ্বলতা উন্নত করতেও সাহায্য করে, যা ত্বককে একটি প্রাকৃতিক আভা দেয়। 
হলুদ ও দুধ
২০২০ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, হলুদে কারকিউমিন থাকে—যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। দুধের সঙ্গে মেশালে এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য আরও ভালো করে। 
সাইট্রাস-মিশ্রিত পানি
ভিটামিন সি ছাড়া শরীরে কোলাজেন তৈরি হতে পারে না এবং সাইট্রাস ফল হলো সবচেয়ে সহজ উৎস। যেমন—কমলা এবং লেবুতে। ত্বকের মেরামত বৃদ্ধির পাশাপাশি, এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং হাইড্রেশন বাড়াতেও সাহায্য করে।
অ্যালোভেরার জুস
২০০৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, অ্যালোভেরা স্টেরল সমৃদ্ধ—যা আপনার ত্বকের ভিতরে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। অ্যালোভেরা জুসের নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং হাইড্রেশন উন্নত করতে পারে, যা ধীরে ধীরে ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা কমাতে পারে এবং একটি সতেজ চেহারা দেয়।
এই পানীয়গুলোতে পুষ্টিগুণ থাকে—যা ত্বকের স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে। প্রতিদিনের রুটিনে এগুলো যোগ করে আপনি আরও সুস্থ, উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন।