অরিজিন জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সিলেকশন অনুষ্ঠিত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মসূচির মাধ্যমে জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বাস্তবায়নে মানসম্মত জাপানি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র বা প্রশিক্ষণ সেন্টার প্রয়োজন। গত দুই মাসে দুইশোরও বেশি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে এবং এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় অরিজিন জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার। গত ২৩ অক্টোবর গাজীপুরে অবস্থিত অরিজিন জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার এর শিক্ষার্থীদের জাপানি প্রতিষ্ঠানের সিলেকশন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। গাজীপুরের বোর্ড বাজারে অবস্থিত অরিজিন জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার এই সিলেকশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যা সকাল ১০টায় উদ্বোধন হয়ে দিনব্যাপী নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে চলে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ লক্ষ্য অর্জনে জাপানি ভাষা শেখার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মসূচির মাধ্যমে অরিজিন জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার থেকে আগামী ৩ বছরে অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে জাপানে পাঠানো সম্ভব বলে উল্লেখ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের মিয়াজাকি প্রিফ্যাকচারাল অ্যাসেম্বলির ভাইস চেয়ারম্যান মি. হিদাকা ইয়োচি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হিদাকা ইয়োইচি, ইয়োনেজো আরিতা, ওদোরি আলি, ওকাজাকি ইয়োশিজি, ইমুতা শিনসাকু ও ইয়নাগিতা তাকাশি।
অরিজিন জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের উপদেষ্টা ড. কাশফিয়া আহমেদ বলেন, জাপানে কর্মী পাঠানোর অন্যতম শর্ত হলো ভাষা দক্ষতা ও কর্মদক্ষতা। অরিজিন জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার এই বিষয়টি নিয়েই কাজ করছে। তিনি বলেন, জাপানে দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য স্পেসিফাইড স্কিলড ওয়ার্কার (এসএসডব্লিউ) সিস্টেম এবং টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (টিআইটিপি) প্রধান দুটি উপায়। এসএসডব্লিউ-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট শিল্প যেমন— নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং কৃষি ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ করা হয়। টিআইটিপি-এর অধীনে, সাধারণত ৫ বছরের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যা পরে এসএসডব্লিউ ভিসাতে রূপান্তর করা যায়।
এসএসডব্লিউ হলো স্পেসিফিক স্কিল্ড ওয়ার্কার সিস্টেম, যা ২০১৯ সালে শুরু হয় এবং কিছু নির্দিষ্ট শিল্পে তীব্র শ্রম ঘাটতি পূরণের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে এবং অন্যতম শর্ত হলো জাপানি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬টি সেক্টরের মধ্যে ৪টি চালু আছে, যেমন: নির্মাণ, কৃষি, হোটেল, এবং কেয়ার গিভার (বৃদ্ধাশ্রম)। এর জন্য জাপানি ভাষা ও নির্দিষ্ট দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে এবং নির্দিষ্ট উচ্চতা থাকতে হবে (যেমন ১৬০ সেমি)। জাপানে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে না, তবে যারা আগে কাজ করেছেন তাঁরা আবেদন করতে পারবেন না। টিআইটিপি (টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম) ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য। টিআইটিপি ভিসায় ৩ বছর কাজ করার পর এসএসডব্লিউ ভিসাতে পরিবর্তন করা যেতে পারে। প্রবাস কল্যাণ ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। জাপানি শ্রম আইন অনুযায়ী, কর্মীর ন্যূনতম বেতন ঘণ্টায় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০০ টাকা হতে পারে। ভিসা আবেদনের জন্য সাধারণত জাপানি ভাষা, পাসপোর্ট, ছবি, ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। সরকারিভাবে আবেদন করলে কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই এই সুযোগ গ্রহণ করা যায়।
এমএসএম / এমএসএম
এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ফল ২০২৫ সেমিস্টারের নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ
অরিজিন জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সিলেকশন অনুষ্ঠিত
দেশে নেশা পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনে ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) এর অনুমোদন আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য ক্ষতির কারণ
আবদুল আউয়াল মিন্টু ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০২৫ সালের 'টপ এগ্রি-ফুড পাইওনিয়ার' পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন
কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬৯তম সভা অনুষ্ঠিত
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৪০০তম সভা অনুষ্ঠিত
পুঁজিবাজারে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় ইন্টারমিডিয়ারিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা: ডিএসই পরিচালক
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনে নবনিয়োগপ্রাপ্ত সদস্য এ. কে. এম. আফতাব হোসেন প্রামাণিকের শপথ গ্রহণ
এমবিবিএস ভর্তিতে জিপিএ কমানোর দাবি শিক্ষার্থী ও বিপিএমসিএ’র
উত্তরা ইউনিভার্সিটির আয়োজনে গবেষণা ও প্রকাশনা পুরষ্কার