চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রায় দেড় বছর পর আবারো চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি খুলে দেয়ায় সেখানেও বেড়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। সারাদিনই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি জবির চিরচেনা রূপে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেই শান্ত চত্বর, শহীদ মিনার, কাঁঠালতলা ও বটতলায় শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সন্ধ্যা হলেই শহীদ মিনার ও বিজ্ঞান অনুষদের সামনে বসছে শিক্ষার্থীদের গানের আসর, আনন্দে মেতে উঠছেন সবাই।
ক্যাম্পাসে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন পর পরীক্ষার ঘোষণা আসায় তারা ঢাকায় ফিরেছেন। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসের আশপাশে মেস বাসা ভাড়া করে থাকা শুরু করেছেন। পুরান ঢাকায় মেস বাসা পাওয়া নিয়ে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হলেও সশরীরে পরীক্ষা হওয়ার ঘোষণায় খুশি তারা। প্রায় ১৮ মাস পর ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে তাদের আনন্দের সীমা নেই।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী মুনতাহা সকালের সময়কে বলেন, ৭ অক্টোবর থেকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। রুটিনও দিয়ে দিয়েছে। তাই আগেভাগেই ঢাকায় চলে এসেছি। ক্যাম্পাসে একটু ঘুরতে এসেছি, অনেক দিন পর বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাসে দেখা হওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। করোনা পরিস্থিতির অবসান ঘটে দ্রুত আগের মতো ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে উঠুক সেই প্রত্যাশা করছি।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী অনুপম সকালের সময়কে জানান, আমি আগে থেকেই ঢাকায় আছি। মাঝেমধ্যেই ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসি। আগে ফাঁকা ফাঁকা লাগত ক্যাম্পাস; এখন অনেকেই ঢাকায় চলে আসায় আগের মতো মুখরিত হয়ে উঠছে। অনেক বন্ধুর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে। মনে হচ্ছে আবারো ক্যাম্পাসের পুরনো রূপ ফিরতে শুরু করেছে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সকালের সময়কে বলেন, পরীক্ষার ঘোষণা দেয়ার পরই ঢাকায় চলে এসেছি। লাইব্রেরিও খুলে দিয়েছে। সেজন্য এখানে এসে নিয়মিত পড়াশোনা করছি। ভালোই লাগছে এমন অবস্থা দেখে। পরীক্ষা শুরু হলে আরো অনেকেই ক্যাম্পাসে আসবে।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী কাইয়ুম বলেন, ক্যাম্পাসে অনেককেই দেখতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়নি। সামনের মাসে পরীক্ষা শুরু হবে, তাই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আস্তে আস্তে বাড়ছে। সামনে আরো বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে একদম আগের মতোই ক্যাম্পাস প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
এদিকে, উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতাও লক্ষ্য করা যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মাস্ক পরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্ন করেছেন, কেউ কেউ প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন। আবার অনেকেই টিকার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকেই টিকা প্রদানের আশ্বাস দেয়ায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করছেন। সেজন্য আগেভাগেই ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছেন তারা। দ্রুতই টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে আবারো ক্লাস শুরু হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তারা। সরকারও নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করে খুলতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই জবির একমাত্র ক্যান্টিন খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে গত বুধবার। শিক্ষার্থীদের আশা, দ্রুতই দূর হয়ে যাবে প্রাণঘাতী করোনার থাবা। আবারো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে ক্যাম্পাস।
এমএসএম / জামান

ইবিতে আ'লীগপন্থী শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চবি মেডিকেলে প্যাথলজি বিভাগ উদ্বোধন, করানো যাবে ২১ ধরনের পরীক্ষা

ইবিতে (ইকসু)গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

জাকসুতে শিবির ও বাগছাসের প্যানেল ঘোষণা, বিলম্ব ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের

জকসু নীতিমালা জমা আজ আগামী বুধবার বিশেষ সিন্ডিকেট সভা

চাঁদাবাজির ঘটনায় আলোচিত সেই আফ্রিদির বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগ

জবি রোভার স্কাউটের বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

গকসু নির্বাচন: গঠনতন্ত্র ভেঙে ‘একক প্রার্থী বানানোর খেলা’, পণ্ড বৈঠক

১২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিটিসিএলের আড়াই কোটি টাকার বিল বকেয়া

ইবিতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা: ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম, এজিএস মায়েদ

ইবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী ৬১জনকে শাস্তির সুপারিশ
