৭ অক্টোবরই খুলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

গত ৭ অক্টোবর থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার মধ্য দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সকালের সময়কে ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ৭ অক্টোবরই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গিয়েছে। সশরীরে যেহেতু পরীক্ষা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়েই তো পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। পরীক্ষার কথা বলতে গেলে একটা হচ্ছে অনলাইন, আরেকটা হচ্ছে ফিজিক্যাললি অফলাইনে। অনলাইনে পরীক্ষা হলে না হয় খোলার প্রশ্ন আছে। যখন ফিজিক্যাল পরীক্ষা হচ্ছে তখন বিশ্ববিদ্যালয় না খুলে কি পরীক্ষা হচ্ছে? ইউনিভার্সিটি ৭ তারিখ থেকে খোলা হয়ে গেছে, শিক্ষকরা আসছে, ছাত্রছাত্রীরা আসছে, অফিস খোলা।
শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, এখন যে প্র্যাক্টিকেলগুলো বাকি ছিল সেটা নিয়ে ভাবছি আমরা। এখন তো আর ক্লাস নেই, পরীক্ষা চলছে। যে প্র্যাক্টিকেলগুলো বাকি ছিল নেক্সট উইক থেকে শুরু হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, প্রয়োজনে গ্রুপ অনুযায়ী প্র্যাক্টিকেল করানো হবে। যাতে কোনো গ্যাদারিং না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদও জবি খোলা নিয়ে জানিয়েছেন একই কথা। দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ করার পর সশরীরে ক্লাস শুরুর কথা ভেবে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সকালের সময়কে ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা ৭ তারিখ থেকে সশরীরে পরীক্ষা নিচ্ছি তাহলে তো বিশ্ববিদ্যালয় খুলেই দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় না খুলে দিয়ে তো আর সশরীরে পরীক্ষা নেয়া যায়না। একটা বিষয় কি এখানে যে, ক্লাসটা আমরা নিচ্ছিনা। কিন্তু সশরীরে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
সশরীরে ক্লাস শুরু বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ বলেন, এখন আমাদের মেইন প্রায়োরিটি পরীক্ষার দিকেই। আমরা পরীক্ষাটা আগে শেষ করি। দুইটা সেমিস্টারের পরীক্ষা আটকে ছিল, একটা হচ্ছে। সেগুলো শেষ করার পর আমরা ক্লাস শুরুর কথা ভাবছি। সবটাই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।
এদিকে সশরীরে পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেড়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে ক্যাম্পাস। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় মেস বাসায় থাকায় প্রায় প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে তাদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যও রয়েছে কড়া নির্দেশনা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিতে কাজ করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই স্থাপন করা হচ্ছে টিকা কেন্দ্র। আগামী ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্থাপিত কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হবে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম৷ এদিন ১০০ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে করোনার টিকা। এরপর ২৫ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে সিনফার্মের টিকা। জবির মেডিকেল সেন্টারে টিকাদান শুরুর আগে একটি ট্রেনিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলবে। মোট ১২টি বুথ বসানো হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা টিকা প্রদান বুথ থাকবে। টিকা গ্রহণের পর তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদা ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা থাকবে। ১ জন ডাক্তার ও ১২ জন নার্স নিয়োজিত থাকবেন টিকা দান কার্যক্রমে। এর আগে দ্রুত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে ক্যাম্পাসেই টিকাকেন্দ্র স্থাপন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এমএসএম / এমএসএম

কম্বাইন্ড ডিগ্রি দাবিতে অচলাবস্থা, উদ্বেগে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষকরা

ইবিতে আ'লীগপন্থী শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চবি মেডিকেলে প্যাথলজি বিভাগ উদ্বোধন, করানো যাবে ২১ ধরনের পরীক্ষা

ইবিতে (ইকসু)গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

জাকসুতে শিবির ও বাগছাসের প্যানেল ঘোষণা, বিলম্ব ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের

জকসু নীতিমালা জমা আজ আগামী বুধবার বিশেষ সিন্ডিকেট সভা

চাঁদাবাজির ঘটনায় আলোচিত সেই আফ্রিদির বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগ

জবি রোভার স্কাউটের বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

গকসু নির্বাচন: গঠনতন্ত্র ভেঙে ‘একক প্রার্থী বানানোর খেলা’, পণ্ড বৈঠক

১২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিটিসিএলের আড়াই কোটি টাকার বিল বকেয়া

ইবিতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা: ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম, এজিএস মায়েদ

ইবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী ৬১জনকে শাস্তির সুপারিশ
Link Copied