এখনও হস্তান্তর হয়নি জবির ছাত্রীহল, আটকে আছে সিট বরাদ্দ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নবনির্মিত ও একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সিটের জন্য ছাত্রীদের আবেদন গত ১৫ অক্টোবর শেষ হলেও এখনও আটকে আছে ছাত্রী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। ছাত্রীদের যাচাই-বাছাইয়ের শর্তগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এখনও শুরু হয়নি ছাত্রী বাছাইয়ের কাজ। অন্যদিকে এখনও শেষ হয়নি হল হস্তান্তরের কাজও। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এখনও বুঝে নেওয়া হয়নি হলের আসবাবপত্র, লিফট, জেনারেটর ও পানির পাম্প।
এদিকে এখনও পর্যন্ত ছাত্রীহলে সিট বরাদ্দের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না দেখায় হতাশ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। গত ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই মেস বাসায় অবস্থান করছেন ছাত্রীরা। সশরীরে পরীক্ষা ও কয়েকটি বিভাগে ক্লাস শুরু হওয়ার পরও হলে সিট বরাদ্দ না পাওয়ায় হতাশ তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সাথে সাথেই ছাত্রীদের হলে তুলার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও যাচাই-বাছাইয়ের কাজও শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, আবেদন শেষ হয়েছে। এখন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাছাইয়ের কাজ হবে। তবে যেসকল শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রীদের হলে সিটের জন্য নির্বাচন করা হবে এসব ভিসি স্যারের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু ভিসি স্যার একটু ব্যস্ত থাকার কারণে এসব সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় লাগছে। আমরা আশা রাখছি এসপ্তাহের মধ্যেই কাজটা শেষ করতে পারবো।
হল হস্তান্তরের বিষয়ে প্রভোস্ট বলেন, আমরা তিনটি কমিটি করেছি। লিফট, জেনারেটর, ফার্নিচার বুঝে নেওয়ার কমিটি হয়ে গিয়েছে। এখন এগুলো শুধু বুঝিয়ে নেওয়া বাকি আছে। ফার্নিচারগুলো একবার দেখা হয়েছে, আবার সরেজমিনে দেখে বুঝে নেওয়া হবে। আর হলের জন্য জনবল দরকার সেটা আমি ভিসি স্যারকেও বলেছি। ফাইলেও উল্লেখ করেছি, কোন পদে কতজন লাগবে। এখন রেজিস্ট্রার সাহেব আমাকে বলেছেন যে, যে কয়টা পদ-পদবী আছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে আমাকে কিছু দিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, হল এখন হস্তান্তরের পর্যায়ে আছে। বাকি সব কাজ হয়ে গেছে। সিভিল কাজ সহ কিছু সমস্যা ছিল আমরা কয়েকজন লোক পাঠিয়েছিলাম, সেগুলো সলভ হয়েছে। যে সমস্যাগুলো ছিল সেগুলো ঠিক করে দেওয়ার কথা হয়েছিল। আমরা দায়িত্ব দিয়েছি দুইজনকে সেগুলো দেখার জন্য।
এবিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এখন তো সেগুলো থেকে বাছাই করে নির্বাচন করতে হবে। এর জন্য একটু সময় লাগবে। এটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আমরা দ্রুতই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। আমরা চেষ্টা করছি যতো দ্রুত সম্ভব ছাত্রীদের হলে তুলতে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ও একমাত্র ছাত্রীহলে সিট বরাদ্দের জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত ১ অক্টোবর যা চলে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ৬২৪ টি সিটের বিপরীতে আবেদন পড়েছে প্রায় ৩ হাজার। একটি সিটের বিপরীতে প্রায় ৫ জন ছাত্রী। খেলাধুলা সহ অন্যান্য সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে যুক্তদের জন্যও বিশেষ কোটা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সেক্ষেত্রেও মেধাবীদেরই মূল্যায়ন করা হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদকপ্রাপ্তদের দেওয়া হবে অগ্রাধিকার। প্রতিবন্ধী ও উপজাতিদের জন্যও কিছু কোটা রাখা হয়েছে, তবে সেক্ষেত্রেও মেধাবীদের নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট।
এমএসএম / এমএসএম

'ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড' শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপহার সামগ্রী দিল জবি শিবির

মতামতবিহীন মতবিনিময় সভায় পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান: সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাধা

‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন

২০ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অর্জন, সংকট ও নতুন স্বপ্নে একুশে পদার্পণ

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষকদের সম্মানী

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

অপেক্ষার অবসান ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, সকাল ১০টায় এইচএসসির ফল

পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের মানববন্ধন

গোবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু
