ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

প্রশাসনিক পদ প্রত্যাহার করে জবি নীল দল একাংশের ইশতেহার ঘোষণা


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ২-১১-২০২১ রাত ৯:৫৭

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২-কে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের একাংশ প্রশাসনিক পদ প্রত্যাহার করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ ২২ মাস পর আগামী ৮ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের একাংশ শিক্ষক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন-অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেল ঘোষণা করা হয়। প্যানেলের সভাপতি সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সহ-সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

এই প্যানেলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুসাররাত শামীম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এএমএম গোলাম আদম, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিবেদিতা রায়, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা আক্তার।

অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন-অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেলের নির্বাচনী অঙ্গীকারে উচ্চশিক্ষা, উচ্চপদে নিয়োগ, গবেষণা বিষয়ক, চাকরি বিষয়ক এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে সকল শিক্ষকের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ; মান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহ পুনরায় চালু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ; প্ৰতি বিভাগে দুজন শিক্ষককে সম্মানীসহ ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগকরণ; শিক্ষক লাউঞ্জের আধুনিকায়ন ও শিক্ষক ক্যান্টিন পুনঃচালুকরণ; শিক্ষকদের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত ক্লাব প্রতিষ্ঠাকরণ; সকল রুটে পূর্ণাঙ্গ দ্বিতীয় শিফট এবং সান্ধ্যকালীন পরিবহন সুবিধা পুনঃচালুকরণ এবং শিক্ষার্থীদেরও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ অনুযায়ী কমপক্ষে দুই মাস অন্তর সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানসহ আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং যুগোপযোগীকরণ; একাডেমিক কাউন্সিলে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক স্তরে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ; বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান ক্যাম্পাসের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিকরণসহ নতুন বা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উন্নয়নকাজকে ত্বরান্বিত করা।

‍এছাড়া অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন-অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেল নির্বাচিত হলে শিক্ষকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার লক্ষ্যে নির্বাচিত সদস্যরা প্রশাসনিক পদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজের কথা উল্লেখ করা হয়।

নীল দলের একাংশের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম ও সদস্য সচিব রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দ আলমের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ শওকত জাহাঙ্গীর, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামানসহ নির্বাচনে পদপ্রার্থী ও নীল দলের একাংশের সিনিয়র শিক্ষকরা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস সকালের সময়কে বলেন, নির্বাচন ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক তালিকা আমরা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি। শিক্ষক সমিতির কার্যালয়কে নির্বাচন কমিশনের অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাহী ৫টি পদের জন্য দুজন করে আর সদস্য পদের জন্য ১০টি পোস্টের বিপরীতে ২২ জন পদপ্রার্থী ছিলেন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার এর শেষ দিন। দুজন সদস্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এখন সদস্য পদের জন্য ২০ জন আর নির্বাহী পদের জন্য প্রতি পদে দুজন করে প্রার্থী রয়েছেন। চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম বুধবার (৩ নভেম্বর) প্রকাশ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কারো কোনো অভিযোগ আসেনি। সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুযায়ী যেসব শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তারাই ভোট দিতে পারবেন।

এর আগে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ৩১ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়। ২৭ ও ২৮ অক্টোবর মনোনয়ন কেনা ও জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল।

এমএসএম / জামান

'ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড' শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপহার সামগ্রী দিল জবি শিবির

মতামতবিহীন মতবিনিময় সভায় পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান: সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাধা

‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন

২০ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অর্জন, সংকট ও নতুন স্বপ্নে একুশে পদার্পণ

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষকদের সম্মানী

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

অপেক্ষার অবসান ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, সকাল ১০টায় এইচএসসির ফল

পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের মানববন্ধন

গোবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু

চাকসুর প্রচারণা শেষ, ভোট আগামীকাল