ঢাকা শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

জবির পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদের বেপরোয়া আচরণ


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ১৮-১১-২০২১ রাত ১০:৬

দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) পুুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদ। সর্বশেষ বুধবার (১৭ নভেম্বর) শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে বিহঙ্গ পরিবহনের সাথে সামান্য ঝামেলা হলে কোনো কারণ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, অকথ্যভাষায় গালাগালি এবং একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের অনুমতি ব্যতীত হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন এসআই নাহিদ। এ সময় ওই শিক্ষার্থীকে মারধরও করেন অভিযুক্ত এসআই।

জানা যায়, নাহিদ জবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমএম শরিফুল ইসলামের ছোট ভাই। তাই তিনি ভাইয়ের ক্ষমতা দেখিয়ে, প্রভাব খাটিয়ে নানাভাবে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করে থাকেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এসআই নাহিদ নিজেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং এই পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের দোকান ও সদরঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে চাঁদা তোলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন জবির মার্কেটিং বিভাগের সাবেক এমএলএসএস। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জবি শিক্ষার্থীদের হয়রানি, কোনো ধরনের তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মারধর এবং কলার ধরে গাড়িতে তোলার অফিযোগ রয়েছে। 

নাহিদের চাঁদাবাজির শিকার একটি বাসের ম্যানেজার বলেন, আমাদের প্রায় সব গাড়ির কাছেই এসআই নাহিদ নিজেকে জগন্নাথের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়ে টাকা নিতো। আমরাও বাধ্য হয়ে দিতাম। তার নিজেরও ৪টি বাস এখানে আছে। এছাড়া গতকাল যেটি ভাঙ্গা হয়েছে সেটি তার ভাইয়ের। তারা দুই ভাই মিলে সদরঘাট বাস টার্মিনালকে চাঁদাবাজির রাজ্যে পরিণত করেছেন। কিছু বললেই নানাভাবে মামলা ও হয়রানির ভয় দেখান। 

হয়রানির শিকার সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে ক্যাম্পাসের পাশে বসেছিলাম। হঠাৎ কােনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং আমাদের কলার ধরে পুলিশের গাড়িতে ওঠান এবং আমার এক বন্ধুকে চড়-থাপ্পড় দেন। এর কারণ হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা তার ভাইয়ের বিপরীতে রাজনীতি করতাম। 

বুধবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একটি বাসের গ্লাস ভাঙ্গার (ঢাকা মেট্রো-ব ১১৭১৮০) সময় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে এতে ছাত্ররা দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে সবাই ক্যাম্পাসের দিকে চলে আসে। ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী আসার চেষ্টা করলে রাস্তায় পড়ে যায়। আর তখন তাকে আটক করে। আটক করার সময় মারধর এবং বুকে পা দেন এসআই নাহিদ। এছাড়া প্রক্টর স্যারকে না জানিয়েই ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী কে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় সাংবাদিকদের দেখে নাহিদ রাগত স্বরে বলতে থাকেন, ‘তোমরা এদের সবাইকে চলে যেতে বলো, নয়তো সবাইকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাব।’ নাহিদের এমন আচরণে সকল শিক্ষার্থী আরো ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং তার প্রত্যাহার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে আটকের পূর্বে প্রক্টরকে জানানোর নিয়ম থাকলেও তা করেনি এসআই নাহিদ। বরং অবৈধভাবে কোনো কারণ ছাড়াই হাতকড়া পরিয়ে মারধর করতে করতে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় তাকে।

সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার আপন বড় ভাই শরিফুল ইসলাম কিন্তু আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম এমন পরিচয় দেই না। তাছাড়া আমি কোনো ধরনের চাঁদাবাজি করি না। এ সময় তিনি রাগত স্বরে এই প্রতিদকের সাথে কথা বলতে থাকেন। আপনি আমার সামনে এসে এমন কথা বলেন বলে হুমকি দেন। 

পুলিশের এসআই ও জবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এক ছাত্রকে মারধর ও লাথি মেরে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, লালবাগ জোনের ডিসিকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। আমাদের একজন ছাত্রের গায়ে পুলিশ কোনোভাবেই হাত তুলতে পারে না। আর হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ অন্যায় কাজ করেছে সেটাও জানিয়েছি। আমাদের কোনো ছাত্র অপরাধ করলে আমাদের জানিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যেতে পারবে। আমাদের যে জানানো হয়নি সেটাও আমরা ডিসিকে জানিয়েছি। উনি বলেছেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ ফাঁড়ি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য, শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার জন্য নয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। বাকিগুলো নিয়ে কথা বলতে চাননি। 

বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি থানার এসি ডা. শারমিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

এমএসএম / এমএসএম

‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন

২০ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অর্জন, সংকট ও নতুন স্বপ্নে একুশে পদার্পণ

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষকদের সম্মানী

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

অপেক্ষার অবসান ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, সকাল ১০টায় এইচএসসির ফল

পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের মানববন্ধন

গোবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু

চাকসুর প্রচারণা শেষ, ভোট আগামীকাল

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, গোবিপ্রবি শাখার নেতৃত্বে ইমন-জান্নাতি

জাককানইবি ছাত্রদলনেতা মামুনের নেতৃত্বে ডাইনিং-এ ভাত ফ্রি করার দাবিতে আবেদন