শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই খেলার মাঠে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ

বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে চলছে ভবন নির্মাণ কাজ। গত ২২ নভেম্বর ২০২১ বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরাতন খেলার মাঠে ভবন নির্মানের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা । বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ড. হুমায়ুন কবির বরাবর ৭ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন তারা। অথচ এ সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খেলার মাঠেই ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের পেছেনে পুরাতন খেলার মাঠে নতুন আরো একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর। গত নভেম্বরের শেষ দিকে ভবনটির নির্মাণ কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে শুরু হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, খেলার মাঠের ঠিক মাঝখানে ইট, বালু , সিমেন্ট ইত্যাদি ফেলে রাখে প্রায় অর্ধশতাধিক খুঁটি পুঁতে রাখা হয়েছে। মালামাল ও শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরী করা হয়েছে কয়েকটি টিনের চালা। প্রতিনিয়ত মাল বোঝাই ট্রাক দিয়ে আনা হচ্ছে বিভিন্ন নির্মাণ সরঞ্জামাদি । ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পিলার তৈরীর কাজ। প্রায় ১২ কোটি টাকা মূল্যের ৫ তলা বিশিষ্ট এই ভবন নির্মাণের ঠিকাদারি পেয়েছে আরএফএল (RFL) প্লাস্টিকস লিমিটেড।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদ অর্ক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খেলার মাঠ ও প্রকৃতি ধ্বংস করে প্রশাসনিক ভবন নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই এই জায়গায় ভবন নির্মানের বিরুদ্ধে ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়কে বস্তি বানানোর যে নীল নকশা চলছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার সাধারণ শিক্ষার্থীরা । ভবনের কাজ শুরুর আগে গত ২২ নভেম্বর আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি। কিন্তু প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মনের কথা বুঝতে সমর্থ হয়নি। তারা তাদের মতো সেখানেই ভবন নির্মাণ করছে । আমরা এই কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারো মাঠে নামবে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়কে বস্তি হতে দেয়া যাবে না।
ভবন নির্মাণের কাজ অন্যত্র সরানোর সুযোগ রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়া অনেক ছোট, অল্প যায়গাতেই অনেকগুলো ভবন করতে হবে। তাই অন্যত্র সরাতে গেলে হয়তো কাজটিই হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই এখানেই মানসম্মত ভাবে, ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট না করে কিভাবে ভবনটি নির্মাণ করা যায় সে বিষয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যায়টির উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, এখন শুধুমাত্র পিলার তৈরির কাজ চলছে, পাইলিংয়ের কাজ শুরু হতে এখনো অনেক দেরি। ভবন নির্মাণের বিষয়টি অন্যত্র স্থানান্তরের সুযোগ রয়েছে। পরবর্তী মিটিংয়ে আমরা এটি উত্থাপন করবো।
জামান / জামান

চাকসুর প্রচারণা শেষ, ভোট আগামীকাল

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, গোবিপ্রবি শাখার নেতৃত্বে ইমন-জান্নাতি

জাককানইবি ছাত্রদলনেতা মামুনের নেতৃত্বে ডাইনিং-এ ভাত ফ্রি করার দাবিতে আবেদন

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর

শিক্ষা ভবন অভিমুখে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা আজ

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের দায়িত্বে ইমন-সোহান

নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যের শিকার শিক্ষার্থীরা, মাত্র ৮ শতাংশ শিক্ষক জবিয়ান

ইউনিসেফের ‘জেনইউ’ প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

খাতা দেখা শেষ, ১৮ অক্টোবরের আগেই এইচএসসির ফল

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
