এতকিছু করার পরও কেন প্রশ্ন উঠবে : খালেদা ইস্যুতে আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তি নিয়ে এতো কিছু করার পরেও ‘মানবিক বিবেচনার’ প্রশ্ন কেন উঠবে তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদেশি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে তাকে মানবিক বিবেচনায় সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছেন। মানবিক বিবেচনা তো সেখানে হয়ে গেছে। আজ এ প্রশ্ন উঠবে কেন? এতো কিছু করার পরেও কেন আবার এ প্রশ্ন উঠবে যে, আমরা মানবিক হচ্ছি না। আমি যেটা বলেছি, সেটা আইনের দিক থেকে বলেছি। এখন মানবিকতা দেখাতে গেলেও আমাকে আইনেই যেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এখন নতুন করে ওই আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে আইন অনুযায়ী জেলে গিয়েই আবেদন করতে হবে, এটাই আইনের কথা।
এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন করে করা আবেদনে আইনের কোনো ধারা উল্লেখ ছিল না জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় শতর্যুক্ত বা শর্তমুক্ত মুক্তির বিষয়টি ছিলো। সেই যে দরখাস্ত সেটি নিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে শতর্যুক্ত ছিলো।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাহী আদেশে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে শর্ত ছিল, বেগম জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। বাসায় থাকতে হবে, হাসপাতালে যেতে পারবেন না এমন না। তিনি কিন্তু হাসপাতালে আছেন। তারপরেও কিন্তু এখন নতুন করে করা আবেদনে সেটি উল্লেখ করা হয়নি। এখন কথা হলো, সরকার তো আগের আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন। এখন কি নিষ্পত্তি হওয়া আবেদন আবারো পুনর্বিবেচনা করা যায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন, এটা কি মানবিক বিবেচনা নয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় দণ্ড স্থগিত রেখে মুক্তি দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু মানবিক দিকটাই বিবেচনা করেছেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, একজনের দুর্দিন যদি আরেকজনের আনন্দের দিন হয় তবে সেটা স্তিমিতভাবে পালন করা উচিত। দেখুন, এটা স্বীকৃত যে আমরা যে সমাজে বাস করি, সমাজের একটা স্ট্রাকচার আছে, আমরা খুব ভালো করেই জানি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়েছে। এটাও প্রমাণিত যে, বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট পালিত হয়। এটা কাকে কোন বিষয়টাকে কটাক্ষ করা? বিষয়টা কত ইম্পোর্টেন্ট সেটা আপনারা বিবেচনা করেন। এটা কোন দিনটিকে কটাক্ষ করে পালন করা হয়, সেটি আপনারাই বিবেচনা করবেন।
তিনি বলেন, আমি কথাগুলোই ফ্যাক্ট। প্রধানমন্ত্রী একজন মা হিসেবে একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে (আরাফাত রহমান কোকো) যখন মারা যান তখন তার বাসায় গিয়েছিলেন। যতোই শত্রুতা থাকুক, যতোই পলিটিক্যাল পার্থক্য থাকুক, তার মুখের ওপরে বাড়ির গেট সেদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। এটা কি মানায়?
আইনমন্ত্রী বলেন, সেই অবস্থান থেকেও প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিকে বিবেচনা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়েছেন। এরপরও মানবিক বিবেচনার প্রশ্ন কেন উঠবে। আইনের বাইরে গিয়ে খালেদা জিয়ার প্রতি আর মানবিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিকের নামে মামলা হলে সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তের পর নিতে হবে মামলা। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করাও উচিত। তবে সে আইন করতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
জামান / জামান
সবুজ প্রযুক্তি, পাট ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
কামালকে দিয়েই শুরু হবে, এরপর একে একে
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষণে শীর্ষে দিল্লি
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৭
নির্বাচনি কার্যক্রমে ঢুকে যাওয়ার আগেই পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছি
কৃষির আধুনিকায়নে আসছে ২৫ বছরের মহাপরিকল্পনা
১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ বার কাঁপল দেশ
সরকারি সিদ্ধান্তে নাগরিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প
পুলিশের ১৩৬ পরিদর্শককে বদলি
১৫৮ ইউএনওকে বদলি
ভোলায় গ্যাসভিত্তিক বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ার পথে সরকার