ঢাকা সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

৩ নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশযাত্রা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭-৬-২০২১ দুপুর ১২:১৪

চীন প্রথমবাবের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশ স্টেশনে তিনজন নভোচারীসহ রকেট পাঠালো। বৃহস্পতিবার চীনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২২ মিনিটে জিকুয়ান স্পেস সেন্টার থেকে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে লং মার্চ টুএফ রকেটের মাধ্যমে তিন চীনা নভোচারী সফলভাবে যাত্রা শুরু করে। এ সময় এই নভোচারীদের মহাকাশ গবেষণা কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা ও শিশুরা শুভেচ্ছা ও বিদায় জানায়।

বর্তমান অভিযানে তিন নভোচারী চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার তিয়ানহে তে তিন মাসের জন্য অবস্থান করবে। এ সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ স্পেস সেন্টারটিকে আরো দু’টি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।

মহাকাশ কর্মসূচিতে ক্রমশই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটাই চীনের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মিশনটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে চীনের প্রথম স্পেসফ্লাইট যা কোনো মানুষ বহন করছে। সেই সঙ্গে এটাকে দেশটির সরকারের জন্যও মর্যাদার ব্যাপার বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা আগামী ১ জুলাই প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে করে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে তারা।

চীনা মহাকাশ সংস্থা চায়নিজ স্পেস এজেন্সির তথ্য মতে, মহাকাশে পৌঁছার পর শেনজু-১২ মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ের প্রধান সেকশন তিয়ানহের সঙ্গে নোঙর করবে। মাত্র দুই মাস আগেই (২৯ এপ্রিল) এটাকে মহাকাশের কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে নভোচারীদের জন্য আগেই জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। তিয়ানহেতে নভোচারীদের থাকার জন্য ঘরও রয়েছে। তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনটির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০২২ সালের মধ্যেই স্টেশনটি কার্যকর হবে বলে মনে করছে চীন। সেই লক্ষ্যে আগামী দেড় বছরের মধ্যে আরও অন্তত ১১টি মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। স্টেশনে সোলার প্যানেল সংযোগ ও দুটি ল্যাবরেটরি মডিউল স্থাপন করবে নভোচারীরা।

মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে চীন তার কার্যক্রম শুরু করেছে বেশ দেরিতে। মাত্র ২০০৩ সালে চীন প্রথম তার নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায়। চীন তখন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর মহাকাশ অভিযানের দৌড়ে তৃতীয় দেশ। কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী একমাত্র মহাকাশ স্টেশন আইএসএস (ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশন) তৈরি হয়েছিল রাশিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ এবং জাপানের সমন্বিত উদ্যোগে। চীনকে এই উদ্যোগে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

চীন এখন পর্যন্ত কক্ষপথে দুটি মহাকাশ স্টেশন পাঠিয়েছে, যা যথাক্রমে ২০১১ ও ২০১৬ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়। তিয়াংগং-১ ও তিয়াংগং-২ নামের ওই দুটি স্টেশন ছিল পরীক্ষামূলক। সেসব স্টেশনের মডিউলগুলোতে নভোচারীরা তুলনামূলক অল্প সময় থাকতে পারতেন। একাধিক মডিউলবিশিষ্ট ৬৬ টন ওজনের তিয়াংগং স্পেস স্টেশনটি আকারে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের এক-পঞ্চমাংশ। স্পেসটি অন্তত ১০ বছর সচল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন এই স্টেশনের মূল অংশই হচ্ছে তিয়ানহে মডিউল। আইএসএস-এর ২০২৪ সালে অবসর নেওয়ার কথা অর্থাৎ ওই বছরই এটির কার্যক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে। তখন তিয়ানগং-ই হবে পৃথিবীর কক্ষপথে একমাত্র মহাকাশ স্টেশন।

সূত্র : আল জাজিরা

জামান / জামান

দ্রুত গাজা শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের

ইন্দোনেশিয়ায় স্কুলভবন ধসে নিহত ৪৫

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তির সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলি

ভারতে ছোট কাপড় পরা মডেলদের শাসাল হিন্দু শক্তি সংগঠন

উত্তাল ইউরোপের এক দেশ, নেপথ্যে নির্বাচন

হামাস সম্মতি দিলেই সঙ্গে সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি

গাজায় সামরিক অভিযান থামিয়েছে ইসরায়েল

গাজায় অভিযান বন্ধ : ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি ও গাজা যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী হামাস

ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প

গাজা সিটিতে সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ বলল ইসরায়েল, নিহত আরও ৫৩

ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ হ্যাকড, ওয়েবসাইটে হামলার হুমকি