শিক্ষার্থীদের সংকট ও সমস্যা সমাধানে মতবিনিময় জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্যবাহী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীদের সংকট ও সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মত বিনিময় সভা করেছে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটায় হলের শহীদ ড. আবুল খায়ের মিলনায়তনে হলের বিভিন্ন বর্ষের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের সঞ্চলনায় ও হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হলটির নবনিযুক্ত প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
এ সময় শিক্ষার্থীরা হলটির বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের বেশ কিছু উপায় নিয়ে কথা বলে। এর মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, ক্যান্টিনের খাবারের মান, খাবারের দাম বৃদ্ধি, টয়লেটগুলোর অপরিচ্ছন্নতা ও নিয়মিত পরিষ্কার না করার অভিযোগ, হলের ময়লা ও আবর্জনাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করা, নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা বাড়ানো, মোটর সাইকেল স্ট্যান্ডের পরিসর বাড়ানো এবং সাইকেলের জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি সাইকেল স্ট্যান্ড বানানো, হলের ভেতরে ফার্মেসীর দোকান বা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা, বিকাশ বা নগদের ব্যবস্থা করা, লন্ড্রির দোকান ও দর্জির দোকানে দাম বৃদ্ধি, সেলুনের দোকানের সমস্যা, হলের পুকুরপাড়ের নষ্ট হয়ে যাওয়া বসার জায়গা, পুকুর পরিষ্কার করা, পলাশির দিকের গেইটের দারোয়ানের ব্যবস্থা করা, হলের প্রতিটি ব্লকে পানির ফিল্টারের ব্যবস্থা করা, এক্সটেনশন বিল্ডিং-এ শব্দ সমস্যা, গণরুম সমস্যা, হলের ওয়াইফাই সমস্যা, হলের ল্যাবে কম্পিউটারের সমস্যা, হলের জিমনেশিয়ামসহ নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সমস্যা তুলে ধরে তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুক্তার বলেন, আমাদের দোকানের খাবারের দাম বেশি ও মান খুবই বাজে। আমরা বেশি দাম দিয়েও সুষম খাবার খেতে পাই না। এছাড়াও হলের পুকুর পাড়ের বসার সিট ও জায়গাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো দ্রুতই ঠিক করা প্রয়োজন।
একই শিক্ষাবর্ষের আরেক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ বলেন, আমাদের হলের দর্জির দোকানের দাম অনেক বেশি। এখানে আর নিউমার্কেটে কোনো দামের পার্থক্য নেই। এই দামটা শিক্ষার্থীদের সাধ্যের মধ্যে আনতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা শুনে সভাপতির বক্তব্যে কামাল উদ্দিন রানা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবো। আজকে যেসব সমস্যার কথা এসেছে সেগুলো সমাধানের জন্য আগামীকাল থেকেই কাজে নেমে পড়বো। শিক্ষার্থীদের যেন ন্যূনতম অসুবিধা না হয় সেজন্য আমরা সবসময় খেয়াল রাখবো।
এসময় ক্যান্টিন মালিক, দোকানের মালিক, লন্ড্রি, সেলুন, দর্জির মালিকদেরকে শিক্ষার্থীদের সমস্যা যাতে না হয় সেভাবে কাজ করার জন্য বলেন। এছাড়াও, খাবারের মান বৃদ্ধির জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। এসময়ের মধ্যে খাবারের মান ভালো না হলে পরবর্তী বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ারও হুঁশিয়ার দেন তিনি। পাশাপাশি হলের কর্মচারীদেরও শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা, আমরা হল নিয়ে কাজ করছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা হয় সেভাবে কাজ করবো।
এমএসএম / এমএসএম

ডাকসুর বিজয়ীদের অভিনন্দন, শিবির নাম প্রচার নিয়ে প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের

বদরুদ্দীন উমর আর নেই

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ

নুরকে সুস্থ দেখানোর একটি পরিকল্পনা চলছে : রাশেদ খাঁন

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে বিজয়ী হবে ছাত্রদল : রিজভী

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তারেক রহমান: আমির খসরু

হঠাৎ উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানালেন সারজিস

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে : রিজভী

আইসিইউ থেকে নুরকে নেওয়া হতে পারে কেবিনে
