খেলায় মারামারি, ইবি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। বহিষ্কৃত মামুন অর রশিদ ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাঠে নামে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। খেলায় দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। খেলা চলাকালে প্রথম দফায় মারামারি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় বিষয়টির সমাধান করে পুনরায় খেলা শুরু হয়। খেলা শেষে সন্ধ্যায় মামুনের মারধরে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শিহাব গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে ৩০ মার্চ অভিযুক্ত মামুনকে শোকজ করে প্রশাসন। তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়। তবে কারণ দর্শানো নোটিসের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ২০ এপ্রিল তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান বলেন, কারণ দর্শানো নোটিসের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটনপূর্বক রিপোর্ট পেশ করার জন্য ভিসি ড. শেখ আবদুস সালাম তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে চারুকলা বিভাগের সভাপতি ড. মামুনুর রহমানকে আহ্বায়ক, সাদ্দাম হোসেন হল প্রভোস্ট ড. আসাদুজ্জামানকে সদস্য ও সহকারী প্রক্টর ড. মুর্শিদ আলমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়।
এমএসএম / জামান