ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

এলাকায় না থেকেও মামলার আসামি জবি শিক্ষার্থী


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ৫-৬-২০২২ দুপুর ১২:৪৪
এলাকায় না থেকেও বাড়িতে গিয়ে হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকির মামলার ১১ নম্বর আসামি হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমরান। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হলেও এলাকায় না থেকেও তার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় অভিযোগকারীর বাড়িতে গিয়ে হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। ওই মামলায় ইমরানসহ তার পরিবারের মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
 
জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা আদালতে মো. কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী মো. কামরুজ্জামান ও বিবাদীদের মধ্যে পূর্বের মামলা-মোকদ্দমা চলমান। ঘটনার তারিখ ও সময়ে বিবাদীপক্ষ বাইকযোগে এসে কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠিসোঁটা নিয়ে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে হুমকি প্রদান করে। মামলা তুলে না নিলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে এবং শাসানী গজরানী করতে থাকে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. ইমরান ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তিনি ঘটনা ও মামলার দুদিন পর ২৮ এপ্রিল রাতে ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে করে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তার নিজ বাড়িতে যান। ট্রেনের টিকিট ও তার ঢাকায় অবস্থান করার প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি সংরক্ষিত আছে।
 
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. ইমরানের মামাতো বোন মোছা. পাপিয়া খাতুনের সাথে মামলার বাদী মো. কামরুজ্জামানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনবার সন্তান জন্মদান নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয় ও মোছা. পাপিয়া খাতুন সন্তান জন্মদানে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় মো. কামরুজ্জামান তার শ্বশুরবাড়ি থেকে জোরপূর্বক বিভিন্ন অংকের অর্থ ও উপহারসামগ্রী নেন। না দিলে পাপিয়া খাতুনের ওপর নির্যাতন চালান। বাধ্য হয়ে পাপিয়া খাতুনের পরিবার সেগুলো দিয়ে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে মো. কামরুজ্জামান পাপিয়া খাতুনকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যান এবং এর ৫ দিন পর ডিভোর্স দেন। এর জেরে পাপিয়া খাতুনের বাবা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। এরপর কামরুজ্জামানও পাপিয়া খাতুনের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কারেন। ওই মামলায় মো. ইমরান আসামি ছিলেন না। পরে গত ২৬ এপ্রিল মো. কামরুজ্জামান আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মো. ইমরান দেশের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় পাপিয়ার পরিবারকে চাপে ফেলতে ইমরানকে আসামি করা হয়। অথচ তিনি ওই সময় পড়াশোনার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। কয়েক বছর যাবৎ ঢাকায়ই অবস্থান করছেন এবং ঈদের ছুটিও এখানেই কাটিয়েছেন।
 
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. ইমরান বলেন, মামলায় যে ঘটনা ও সময়ের কথা বলা হয়েছে ওই সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। ঘটনা ও মামলার দুদিন পর ২৮ এপ্রিল রাতে আমি ঢাকা থেকে কোটচাঁদপুরে আমার বাড়িতে যাই। তাহলে আমি কিভাবে তাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছি? আমার শিক্ষাজীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামি করা  হয়েছে।
 
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার ওসি আব্দুল খালেক  বলেন, কোর্ট থেকে রিপোর্ট এসেছে। এর তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা আমার এই মুহূর্তে জানা নেই। আসামি যেহেতু জীবনগর এলাকার বাইরের, কোন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করছেন কি-না সেটা জানতে পারলে সর্বশেষ অবস্থা জানাতে পারব।

এমএসএম / জামান

ইউনিসেফের ‘জেনইউ’ প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

খাতা দেখা শেষ, ১৮ অক্টোবরের আগেই এইচএসসির ফল

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর