ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

খাদ্য নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জ আছে, সংকট নেই


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭-৬-২০২২ বিকাল ৫:৫২

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ আছে, তবে দেশে  খাদ্য সংকট নেই। জাতীয় পুষ্টি পরিষদের তথ্যানুযায়ী, দেশে ৮৫ শতাংশ মানুষ তাদের প্রোটিন গ্রহণের প্রস্তাবিত মাত্রা পূরণ করতে পারেনি। ইউএসএআইডি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবাদি জমির ক্ষয়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন বন্যা এবং অনাকাঙ্খিত আবহাওয়ার কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উদ্বেগকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে এসকল তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আজ সকালে রাজধানী ইন্টারকন্টিনেন্টালের রুপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এর সভাপতিত্ব 'সেফার ফুড ফর বেটার ইকোনোমি' শিরোনামে আয়োজিত এ সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন।

সেমিনারে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিস্টার পিটার হাস, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশী প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া ।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, খাদ্য নিরাপদতা নিশ্চিতে খাদ্য ব্যবসা পরিচালনায় নিবন্ধন বা লাইসেন্সের জন্য সবাইকে এক ছাতার নীচে আনা হবে। তিনি আরো বলেন, বিবেককে ফাঁকি দিয়ে কখনো নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে না; তাই সুস্থ, সবল ও সুনাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম তৈরী করতে হলে আমাদের দরকার হবে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। 

সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য সচিব বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য খাদ্য নিরাপদতা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, খাদ্য নিরাপদতা নিশ্চিত না হলে আমরা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়বো। 
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন স্বাধীনতা পরবর্তী খাদ্য নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার উপর আলোকপাত করেন। 
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার অর্থনীতির সুফল পেতে হলে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে অভিহিত করেন।

বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জনাব শাইখ সিরাজ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে উৎপাদন পর্যায় হতে কাজ শুরু করার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন। এজন্য তিনি সকল সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করার পরামর্শ দেন। 

জাতিসংঘ নিরাপদ খাদ্যের সচেতনতা বাড়াতে ২০১৮ সালে ৭ জুনকে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে "ঝধভবৎ ঋড়ড়ফ, ইবঃঃবৎ ঐবধষঃয"। এর প্রধান উদ্দেশ্য হ'ল খাদ্য নিরাপত্তা, মানব স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কৃষি, পর্যটন এবং টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখা। খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং পদক্ষেপগুলিকে অনুপ্রাণিত করা।
ডব্লিউএইচও, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাথে যৌথভাবে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রচারণায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।

এমএসএম / জামান

ভোলায় গ্যাসভিত্তিক বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ার পথে সরকার

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী জাবেদ করিমের গ্রেড–৩ থেকে গ্রেড–২ এ পদোন্নতি

পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের

লটারিতে ৬৪ জেলার এসপি পদায়ন করলো সরকার

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত : সিইসি

আগুনে ভস্মীভূত ঘর, দাঁড়িয়ে আছে শুধু সিঁড়িটি

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি

মাসের পর মাসের চেষ্টায় জমেছিল দেড় লাখ টাকা, আগুনে সব শেষ

৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের কারণ শর্ট সার্কিট : প্রেস সচিব

যানজটে ৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কাজ করছে ৭ ইউনিট

দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে : দুদক চেয়ারম্যান

পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির