শিক্ষককে হত্যা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ইবি শিক্ষকদের
ঢাকার সাভারে একজন কলেজ প্রভাষককে পিটিয়ে হত্যা ও নড়াইলে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশবিদ্যালয়ের (ইবি) ৬ শিক্ষক। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন তারা। এসময় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে আইসিটি বিভাগের প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার, প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সিংহ, সহযোগী অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন, কম্পিউটা সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়া ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, সাভারে কলেজ প্রভাষককে পিটিয়ে হত্যা ও নড়াইলে শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে এই অবস্থান কর্মসূচি করেছি। এগুলো যে বা যারাই করুক এ জায়গাটি যদি আমরা সংশোধন করতে না পারি, এর মূলকে যদি আমরা চিহ্নিত করতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে একপক্ষকে আরেক পক্ষের প্রতিদ্বন্দী বানানো হচ্ছে। এসব ঘটনা মোটেই কাম্য নয়। এসব ঘটনায় দোষীদের অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে একই দাবিতে তীব্র নিন্দা ও দোষীদের বিচার চেয়ে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট। সংগঠনটির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক ইউনিটের নেতারা বলেন, দুই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার সাবলীল পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। কেউ যেমন আইনের উর্ধ্বে নয় তেমনি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার পিছনের মূল পরিকল্পনাকারী ও উস্কানীদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এমএসএম / জামান