নোবিপ্রবিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে স্বাক্ষর দিতে শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ

যৌন হয়রানি, মার্ক টেম্পারিংসহ ১৬ অভিযোগে অভিযুক্ত সেই নোবিপ্রবি শিক্ষক মুশফিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলেছেন শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। নিজের পক্ষে স্বাক্ষর দিতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা প্রদান, নিজ পছন্দের শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষার রেজাল্ট শীট তৈরিসহ আরো ১৫টি অভিযোগ উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর বিভাগটির দ্বিতীয় ব্যাচের ১৪ জন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে প্রথম ব্যাচের ১৮ জন শিক্ষার্থী ১৬টি অভিযোগ দেন। অভিযোগের দুটি কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো হলো :
১। আমাদের শ্রেণিকক্ষে এবং পরীক্ষার হলে তিনি সরাসরি হুমকি প্রদান করেন এবং অপমান-অপদস্ত করেন যে কারণে আমরা এসব মেনে নিতে না পেরে পরীক্ষার হলে এবং শ্রেণিকক্ষে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি।এছাড়া পরীক্ষার হলে প্রচুর পরিমাণে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগি ও পাশাপাশি আত্নহত্যার মত চিন্তা করতে ও বাধ্য হই।
২। Y-3,T-1 এ পাঁচটির মধ্যে চারটি কোর্সের দায়িত্ব একই শিক্ষকের নিকট থাকায় স্বেচ্ছাচারিতার মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, ব্যবহারিক ও ক্লাস টেস্ট পরীক্ষায় পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণের স্বীকার হই আমরা। একাধিক কোর্সের ভয় দেখিয়ে তিনি এটা ও বার বার ঘোষণা করেন যে তিনি যেখানেই যাবেন Dictatorial Democracy কায়েম করবেন।
৩। তত্ত্বীয় পরীক্ষার পরপরই জোরপূর্বক ব্যবহারিক পরীক্ষা চাপিয়ে দেয়া হয়। (উল্লেখ্য এরকম পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অপারগ হয়)।
৪। ক্লাসে বাবা-মা নিয়ে খুবই অশালীন ভাষায় গাল মন্দ করা হয়।
৫। শিক্ষার্থীদের সামনে এবং শ্রেণীকক্ষে বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের এমনকি চেয়ারম্যানকে নিয়েও বাজে মন্তব্য এবং কটুক্তি করেন ও নিজের অতীত কর্মকান্ড সম্পর্কে শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করা।
৬। নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কে রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন ভয়-ভীতি (পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত) প্রদর্শনের মাধ্যমে তার নিজস্ব অফিস কক্ষে থাকতে বাধ্য করেন।
৭। তার সৃষ্টিকৃত টার্ম ‘ম্যারাথন ক্লাস’-এর নামে একটি ক্লাস ৪-৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করার বহু উদাহরণ রয়েছে এবং ক্লাসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের বিনা কারণে জোরপূর্বক দাঁড় করিয়ে রাখেন।
৮। ব্যবহারিক পরীক্ষায় অযৌক্তিক, অবান্তর, অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা।
৯। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জরুরী প্রয়োজন হওয়া সত্বেও ওয়াসরুমে যেতে না দেয়া ।
১০। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তার পছন্দের শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে, শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করে পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই ফলাফল প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদের এক্সাম হলে ফলাফলের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করে থাকেন তিনি।
১১। নিজের পছন্দের শিক্ষার্থীদের দিয়ে একই বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল রেজাল্ট শীটে লিপিবদ্ধ করেন।
১২। ক্লাস টেস্ট এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা সহ একাডেমিক বিভিন্ন বিষয়ে পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ করার মাধ্যমে তার পছন্দের শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর প্রদান করেন যা সর্বশেষ পরীক্ষায় তা সর্বাধিক পরিলক্ষিত হয়।
১৩।শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিহিংসা ও বিভেদ তৈরি করেন।
১৪। শ্রেণিকক্ষে ধর্মীয় অনুশাসন মান্যকারীদের প্রকাশ্যে অবমাননা ও তামাশা করেন।
১৫। প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দায়ের করার পর রাত থেকেই আমাদের চেয়ারম্যান, ডীন ও সাংবাদিক সমিতি বরাবর উক্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করার নির্দেশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের তার পক্ষে স্বাক্ষর প্রদানের নির্দেশনা দেন। (উল্লেখ্য চা নাস্তা বাবদ অর্থ প্রদান করেন )
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মুশফিকুর রহমান আশিক বলেন, আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। সবার মতো আমারো তো পরিবার আছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত।খুব বিব্রতকর অবস্থায় আছি আমি। আমার আশংকা হচ্ছে আমাকে বারবার বিব্রত অবস্থায় ফেলতে অভিযোগ গুলো আসতেছে। এখানে কারো লুকায়িত হীন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১৪ আগস্ট শিক্ষা বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর ১৬ টি লিখিত অভিযোগ দেন। যাতে যৌন হয়রানি,নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থা,মা-বাবাকে নিয়ে গালিসহ অনেক স্পর্শকাতর অভিযোগ উঠে আসে।
এমএসএম / জামান

খাতা দেখা শেষ, ১৮ অক্টোবরের আগেই এইচএসসির ফল

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর
