দ্বিগুণ ভাড়ায় সড়ক পরিবহনে যাত্রী কম : মাস্ক পরায় অনীহা
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় সরকার গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মানতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। এর বিপরীতে বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। তবে অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীদের মাস্ক পরা কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো ঢিলেঢালা ভাব বজায় রয়েছে। শুক্রবার (২৮ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। তবে যাত্রী ছিল কম।
সিলেটেগামী এক জানান, আগে একই বাসে ৩৫০ টাকায় সায়েদাবাদ থেকে সিলেট যেতাম। আজ ৫৫০ টাকা নিয়েছে। সিলেটগামী নন-এসি বাসের জনপ্রতি ভাড়া ৪৭০ টাকার পরিবর্তে ৭৫০ টাকা করে নিচ্ছে হানিফ পরিবহন।
কুমিল্লাগামী তিশা এক্সক্লুসিভ বাসের এক যাত্রী জানান, ১৫০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা নিয়েছে। লাকসামগামী উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া তিশা পরিবহনে যাত্রী ছিল অর্ধেক। এক যাত্রী জানান, আগে জনপ্রতি ২০০ টাকা ভাড়া ছিল। অথচ আজ ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা।
তিশা বাসের সহকারী মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বাস বন্ধ থাকায় যাত্রী কমে গেছে। ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়েও লোকসান গুনতে হচ্ছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনেক যাত্রী বাড়ি যেত। অথচ আজ যাত্রী অনেক কম। আগে দুই যাত্রীর কাছ থেকে পেতাম ৪০০ টাকা। এখন দুই সিটে এক যাত্রী দিচ্ছেন ৩২০ টাকা। মাস্ক পরার বিষয়ে তিশা বাসের এক যাত্রী বলেন, মাস্ক পরেছিলাম। এখন মাথাব্যথা করছে তাই খুলে রেখেছি।
হানিফ পরিবহনের হেলপার নোমান হোসেন জানান, লকডাউনে বাস বন্ধ থাকায় এক মাসের বেশি সময় খুব কষ্ট করেছি। বাস বন্ধ থাকায় ৪০ হাজার টাকা ঋণ করতে হয়েছে। বাস চলায় প্রতিদিন ৪০০ টাকা পাচ্ছি। ৬০ শতাংশ ভাড়ার কারণে যাত্রী কম।
হানিফ পরিবহনের সায়েদাবাদ কাউন্টারের ম্যানেজার আবুল কাশেম জানান, যাত্রী কম। ভাড়া বাড়ায় মানুষ বাড়তি টাকা দিতে চাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই রহমান বলেন, আমরা মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলে দিচ্ছি। যারা মানছেন না তাদের সচেতন করতে মাস্ক দিচ্ছি।
জামান / জামান