এখনও টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বাকি সাড়ে ১৮ লাখ
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণমুক্ত থাকতে শনিবার (২২মে) পর্যন্ত সারাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ আট হাজার ৯৭৯ ও নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩ জন।
এ সময় পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ২১৮ জন। সে হিসেবে প্রথম ডোজের টিকা নেয়া ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৬৯৪ জনের এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বাকি রয়েছে।
অন্যদিকে দেশে এখন পর্যন্ত দেশে এক কোটি দুই লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। সেই অনুযায়ী, এখন প্রায় চার লাখ সাত হাজার ডোজ ভ্যাকসিন অবশিষ্ট আছে।
আজও (শনিবার) দেশের আটটি বিভাগে ৪১ হাজার ৪৬৭ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ হাজার ৫৭ ও নারী ১৬ হাজার ৪১০ জন।
দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম আর কয়দিন চলবে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশ করছে না।
গত ১৬ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকার আর এক সপ্তাহের মজুত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানভেদে তা আরও দু-একদিন কমবেশি হতে পারে। তবে বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী দু-একদিন দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান চলবে। তারপর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংগ্রহ না করা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রথমে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের চার থেকে আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার কথা বলা হলেও এখন ১৬ সপ্তাহ পর নিলেও চলবে, বলা হচ্ছে। এ কারণে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে মানুষের খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী টিকা দ্রুত সংগ্রহের বিষয়টি দেখভাল করছেন। এ মুহূর্তে যে পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে তা দিয়ে আরও কয়েক দিন চালাতে চায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।’
দেশে করোনার টিকা গ্রহণের জন্য এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংগ্রহ করা হলে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ করে নতুন করে টিকাদান শুরু হবে।
রিয়াদ / এমএসএম