ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

একান্ত সাক্ষাৎকারে মো. শাহ জহিরুল ইসলাম

দেশের চিকিৎসকরা এখন যোগ্য ও দক্ষ


ফয়েজ রেজা  photo ফয়েজ রেজা
প্রকাশিত: ২-১১-২০২২ দুপুর ১১:৮

২০০৫ সালে উত্তরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার। ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু করে আজ সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হাসপাতালটি। এর বিশেষ কি কারণ, তা জানিয়েছেন লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ জহিরুল ইসলাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দৈনিক সকালের সময় এর যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ রেজা।  

সকালের সময়: লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার প্রতিষ্ঠার কারণ কি ছিল? মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: প্রতিষ্ঠার আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যেসব সমস্যায় পড়েন, আমরা সেসব সমস্যামুক্ত থেকে সেবা করার চেষ্টা করব। আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বড় অংকের কমিশন দিতে হয়। শুরু থেকে আমাদের একটি প্রতিশ্রুতি ছিল, স্বাস্থ্যসেবার সকল বিভাগে সেবা প্রাপ্তিতে যে ঘাটতি আছে, আমরা তা পূরণ করব এবং মানুষের আস্থা ফেরানোর জন্য বিশেষ কিছু করব। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা প্রথমেই চিকিৎসকদের কমিশন দেওয়া বন্ধ করেছি। চিকিৎসক ছাড়াও বিশেষ চক্রের যারা কমিশন খেয়ে রোগী ভর্তি করায়, আমরা তাদের মাধ্যমে রোগী ভর্তি করানো বন্ধ করেছি। আমাদের চিন্তা ছিল আমরা রোগীদের সেবা দেব। ছাড় যা দেওয়া যায়, তা রোগীদের দেব। রোগীরা যেনো বিশেষ সুবিধা পায়, আমরা সে চেষ্টা করব। শুরুর দিন থেকে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। আমরা সেই প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করেছি। আমরা রোগী বাদে কাউকে কোনো কমিশন দেই না। ফলে রোগীদের মাধ্যমে আমরা রোগী পাই। অল্প খরচে ভালো মানের সেবা পাওয়ার কারণে দেশব্যাপী আমাদের সুনাম আছে। রোগীরাই আমাদের এখানে রোগী পাঠায়। 

সকালের সময়: যে স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন, সে স্বপ্ন কতখানি বাস্তবায়ন হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: ব্যবসায়িকভাবে কতটুকু সফল হয়েছি, তা বলতে পারব না। প্রাপ্তির তো শেষ নেই। যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম, তা শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা আমরা করেছি। অনেকটাই পেরেছি। ব্যবসায়িক হিসেবে হয়তো আরও ভালো করার সুযোগ ছিল, সেটা হয়তো আমরা পারিনি। কিন্তু নৈতিক ও মৌলিক পরিবর্তনের যে বিষয়, তা শতভাগ করার চেষ্টা করেছি। আজকের এই দিনে আমরা বলতে পারি আমাদের হাসপাতাল থেকে রোগী বাদে অন্য কেউ কোনো ছাড় বা কমিশন পায় না।
সকালের সময়: রোগীরা এই বিশেষ সেবা ও সুবিধা কীভাবে পাচ্ছে?  
মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: যেকোনো হাসপাতালে রোগী যাওয়ার পর চিকিৎসক তাকে বিশেষ পরিক্ষা নিরীক্ষা করতে দেয়। অনেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আলাদা কমিশন পায় চিকিৎসকরা। আমরা চিকিৎসকদের আলাদা কমিশন না দেওয়ার কারণে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার হয় না। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার খরচও কম পরে। আমাদের কর্তৃপক্ষ থেকে চিকিৎসকদের উপর এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় না যে, এতগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা দিতে হবে। ফলে আমাদের হাসপাতালে রোগীদের তুলনামূলক কম পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। 

সকালের সময়: লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে কি শুধু উত্তরার মানুষেরা চিকিৎসা সেবা নেন, নাকি সারা দেশ থেকে আসেন?
মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: সারা দেশ থেকে আসে। বিশেষ করে বাইপাস সার্জারি এবং জটিল যত অপারেশন আছে, সেসব আমাদের এখানে আসে। এটি জেনারেল হাসপাতাল, কার্ডিয়াক রোগী তো আসেই। গাইনি বিভাগের চিকিৎসা শুরু থেকেই আমাদের এখানে উন্নতমানের ছিল। যে কোনো ধরনের সার্জারি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অসুখের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য মানুষ এখানে আসেন। সব ধরনের সেবা দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে। 

সকালের সময়: বেসরকারি হাসপাতালের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। চাইলেই বেশি বিনিয়োগ করা যায় না। প্রয়োজনীয় যন্ত্র আমদানি করা যায় না। নিশ্চয়ই লুবানা হাসপাতালেও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এসব সীমাবদ্ধতা নিয়ে আপনারা কীভাবে টিকে আছেন?

মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: আমরা চেষ্টা করি আমাদের সাধ্যমত সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার। আমরা চেষ্টা করছি, যেখানে আমাদের সীমাবদ্ধতা, সেক্ষেত্রে আমাদের জানামতে আরও ভালোমানের সেবা যেখানে পাওয়া যায়, সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেই।  

সকালের সময়: প্রতি বছর উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির আশায় বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছেন। সরকারি বেসরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবা খাতে এত উন্নতি করার পরেও মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখী কেন?

মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: এই সময়ে আমাদের দেশের চিকিৎসকরা অনেক বেশি যোগ্য ও দক্ষতা সম্পন্ন। দক্ষ চিকিৎসকের সমস্যা বর্তমানে আমাদের দেশে নেই। আমাদের ঘাটতি আছে উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জামের। সহজে রোগ নির্ণয় করার জন্য যে মানের যন্ত্র দরকার, তা আমাদের দেশে কম। ধরুন একটি ভালো মানের এমআরআই মেশিন। এটির দাম হয়তো দশ থেকে পনের কোটি টাকা। আমাদের দেশে সর্বশেষ প্রযুক্তি সুবিধা সম্পন্ন মেশিনটি হয়তো নেই। আগের জেনারেশনের প্রযুক্তি। ফলে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির আশায় দেশের বাইরে যারা যাচ্ছেন, তাদের আমরা দেশের ভেতরে সেবা দিতে পারছি না। বেশি দামের এমআরআই মেশিন আমরা যদি কিনি, বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত। সে কারণে সামর্থ থাকার পরেও আমরা তা করতে পারি না। যন্ত্রপাতি বিষয়ে যদি আমরা সহযোগিতা পেতাম, তাহলে আমাদের সুবিধা হত। 
  
সকালের সময়: এই সহযোগিতা আপনারা কার কাছ থেকে প্রত্যাশা করছেন? সরকারের কাছ থেকে, ব্যাংক এর কাছ থেকে নাকি সাধারণ মানুষ এর কাছ থেকে? 

মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে জড়িত। দেশের সব মানুষ যদি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকত, তাহলে আমরা রোগীদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিতে পারতাম। এখানে সরকারের একটি উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন আছে। সরকার যদি মনে করে, একজন রোগী সিঙ্গাপুর গিয়ে যে টাকা খরচ করে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে, সেই টাকা দেশে রাখার জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের যদি উৎসাহিত করে, তাহলে বেসরকারি উদ্যোক্তারা সফলতা পাবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আস্থার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এখানে গণমাধ্যমের অবদান রাখার সুযোগ আছে। আমাদের দেশের যেসব অসুখের উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে, সে মানের সেবা আমরা দিচ্ছি, তা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে গণমাধ্যম। বাড়িয়ে কমিয়ে বলার দরকার নেই, সত্যিকার অর্থে যে মানের সেবা বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে, তা তুলে ধরা দরকার। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা খাতের নেতিবাচক প্রকাশ বেশি। গণমাধ্যমে ইতিবাচক দিকগুলো বেশি প্রকাশিত হলে দেশের মানুষ আরও সচেতন হতো। মানুষ জানতে পারতো, বুঝতে পারতো সত্যিকার অর্থে কোন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। মানুষের আস্থা ফিরে আসতো। সরকারের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্যসেবা খাতের ইতিবাচক দিক তুলে ধরা দরকার। 

সকালের সময়:  এই সময়ে দেশে অনেক বড় বড় বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তারা বলছে ওয়ান স্টপ সলিউশন বা সব ধরনের চিকিৎসা সেবা তাদের এখানে পাওয়া যায়। তারা অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য। অনেক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিশাল অংকের বিনিয়োগ করেছে। এসব উদ্যোগ স্বাস্থ্যসেবা খাতে মানুষের আস্থা ফেরাতে কতটুকু সহায়ক হবে? দেশের রোগীদের দেশে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে কতটুকু সহযোগিতা করছে?

মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: দেশে বেসরকারিভাবে বড় বড় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কারণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তারা যে ওয়ান স্টপ সলিউশন দিচ্ছে এর ফলে দেশে এখন সব ধরনের জটিল রোগের অপারেশন করানো সম্ভব হচ্ছে। দেশে কিডনি ট্রান্সফার করা যাচ্ছে। দেশে বাইপাস সার্জারি করা হচ্ছে। আমরা আগে চিন্তাই করতে পারতাম না দেশে বাইপাস সার্জারি করা যাবে। আজকে গোটা দেশে অনেক হাসপাতাল সফলতার সাথে বাইপাস সার্জারি করছে। আমাদের মতো মধ্যম সারির হাসপাতালগুলো অনায়াসে প্রতিদিন বাইপাস সার্জারি করছে। এনজিওগ্রাম করছে। এটি বিগত দশ বছর আগে ছিল না। মানুষ ধীরে ধীরে আস্থা পাচ্ছে। বড় মাপের হাসপাতালগুলো এ বিষয়ে ভালো ভূমিকা রাখছে। 

সকালের সময়: বাংলাদেশ তো একটি জনবহুল দেশ। অল্প এলাকায় অনেক বেশি মানুষের বসবাস। সেই হিসেবে হাসপাতালগুলো অনেক বেশি রোগী পাওয়ার কথা। তারপরেও দেশের বাইরে চিকিৎসা খরচ কম, একই চিকিৎসা সেবায় আমাদের দেশে চিকিৎসা খরচ বেশি হয়। এর কারণ কি?
মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: এটি আসলে কথার কথা। বাইরের দেশে যারা চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন করে জানবেন, তারা সেখানে কত টাকা খরচ করেছিল? আমাদের দেশে কল্পনাতীতভাবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় একটি বাইপাস সার্জারি করানো সম্ভব। বিশ্বের আর কোনো দেশে এটি সম্ভব নয়। 

সকালের সময়: আমরা করোনা মহামারী অতিক্রম করলাম। সে সময় দেশের মানুষ এক ধরনের সমস্যা ও ভীতিকর অবস্থার মধ্যে ছিল। বর্তমান সময়ে অর্থনীতির অবস্থা খারাপের দিকে। সামনে হয়ত আরও খারাপের দিকে যাবে। মানুষের স্বাভাবিক খরচের বড় একটি অংশ যায় চিকিৎসা ব্যয়ে। এই সংকটকালে মানুষ চিকিৎসা খরচ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে? 

মো. শাহ জহিরুল ইসলাম: স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে আমরা যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এখনো শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। খাদ্যে যথেষ্ট ভেজাল রয়েছে। আমাদের স্বাভাবিক চলাফেরার যে অভ্যাস, তাতে অনেক ত্রুটি রয়েছে। আমরা শিক্ষিত হচ্ছি, শতভাগ শিক্ষিত এখনো হইনি। আমরা ভদ্র হতে শুরু করেছি। এখনো পুরোপুরি ভদ্র হয়ে উঠতে পারিনি। যার কারণে একটি সুস্থ শরীর রাখার জন্য যা যা করা দরকার, অনেক কিছু থেকে আমরা দূরে আছি। বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা এখনো আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। যেমন- মাছ, মাংস, শাক-সবজি অনেক কিছুতেই ভেজাল। রাসায়নিক দ্রব্য অথবা ফরমালিন এমনভাবে মিশে আছে, আমরা যাই খাব, তাতেই ভেজাল। যার ফলে বাংলাদেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হার্টের অসুখ বাড়ছে। মানুষের মানসিক যন্ত্রণা বাড়ছে। ব্যবসা, চাকরি, পারিবারিক জীবনে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে। যার কারণে ব্লাড প্রেসার এর রোগী বাড়ছে। অন্যান্য কারণে বিশেষ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে মানুষের মধ্যে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। পরিমিত খাবার গ্রহণ করতে হবে। শরীর চর্চা বাড়াতে হবে। নিয়মিত ঘুম দরকার। আরাম একটু কম করে পরিশ্রম বেশি করতে হবে। খাবারে ভেজাল বা বিষাক্ত উপাদান মেশানো থেকে বিরত থাকতে হবে ব্যবসায়ীদের। তাহলে দেশের মানুষের সুস্থতা ও গড় আয়ু বাড়ানো সম্ভব হবে। 
  

এমএসএম / এমএসএম

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

ক্যানসার রহস্যের জট খোলার নতুন ‘সূত্রের’ সন্ধান মিলেছে

বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ইসি গঠনে সাত সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি

বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

আঘাতপ্রাপ্ত রেটিনায় চোখের চিকিৎসা ও সম্ভাবনা

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির সভাপতি এম এ ফয়েজ

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে ওএসডি

কাজে ফিরলেন চিকিৎসকরা, রোগী ও স্বজনদের স্বস্তি

আন্দোলনে নিহত হাজারেরও বেশি, চোখ হারিয়েছেন চার শতাধিক

সেব্রিনা ফ্লোরাকে নিপসমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন

পদত্যাগ করলেন বিএসএমএমইউ ভিসি