কেমন আছেন শালিখার নিরক্ষর কবিয়াল হাসেম আলী বয়াতী

`সোনার বাংলা সোনার মানুষ, সোনার বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ স্বাধীন করতে কতই মানুষ হলো শেষ’ গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মন জয় করা হাসেম আলী বয়াতীর জীবনে এখন করুন দশা। মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের কাতলী গ্রামের গুণী শিল্পী হাসেম আলীর কাছে অত্র ছয়-সাত জেলার এমন কোনো হাট-বাজার নেই যেখানে তিনি গান গাননি।
যশোর, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনা
হাসেম আলী ফরিদপুর জেলা নগরকান্দা থানার মেহেদীভাঙ্গা গ্রামে ১৭ মার্চ ১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার তিন সন্তানের মধ্যে হাসেম আলী বড়। হাসেম আলীর বাবা পরিবার-পরিজন নিয়ে শালিখা উপজেলার কাতলী গ্রামে এসে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। এখানে আসার তিন বছর পর বাবার মৃত্যু হয়। সবার বড় সন্তান হিসেবে তার ওপর দায়িত্ব পড়ে সংসারের। সংসারের ঘাঁনি টানতে হাসেম আলী ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। ক্ষেতে মজুরি হিসাবে যা পান তা দিয়েই কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করেন। ওই সময়ে তিনি মুখে মুখে গান রচনা শুরু করেন এবং গান গেয়ে শোনান। এর পর থেকে তার গান লোকমুখে প্রচার হতে থাকে। বাম হাতে প্রেমজুড়ি বাজিয়ে হাট-বাজারে মজমা করে মুখে মুখে গানের পর গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে তোলেন। তিনি প্রায় ৪০০ গান রচনা করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকারদের বিরুদ্ধে গান করায় এলাকা থেকে বিতাড়িত হন।হাসেম আলী বাড়ি ছেড়ে সীমান্ত বয়রার ঘাট পার হয়ে ভারতের চাঁপাবাড়ি ক্যাম্পে গিয়ে দেখে যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা গ্রামের আলতাফ হোসেন ঐ ক্যাম্পের দায়িত্বে আছেন।আলতাফ হোসেন খুশি হয়ে তাকে আপ্যায়ন করে খেতে দিলেন। সে ক্যাম্প থেকে সারাদিন রানাঘাট হাইব্রিজের নিচে মজমা করে গান গেয়ে পয়সা রোজগার করতেন।মাঝে মাঝে বাড়ি এসে মায়ের কাছে টাকা পয়সা দিয়ে ভারতে চলে যেতেন।যেসব গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধা,শরনার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের মন মন জয় করতেন।যেমন- ওভাই বাঙ্গালী রাজাকারে কেন নাম দিলি, গাওরে গান গাওরে গান জয়বাংলা জয়ের গান, শোন শোন বন্ধু গনে করি আমি বর্ননা বাংলায় দান করে সরকার মানে হল না, আড়পড়া বাজারে দেখলাম আজব কারখানা, টিনের ঘরে পড়ল শিল বন্ধ হলো রাইচ মিল কারো পিঠে লাথি-কিল, হাটে মানুষ থাকল না।
কবিয়াল হাসেম আলীর রচিত গানগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সংস্কৃতির ভাণ্ডার অনেকটায় পূর্ণ হতো। এলাকার সুশীল সমাজ বিভিন্ন সময়ে তাকে নানাভাবে সংবর্ধনা দিয়ে ক্রেস্ট, বস্ত্র, নগদ টাকা তার হাতে তুলে দেন। কিন্তু এখন তিনি দারুণভাবে অসহায় জীবনযাপন করছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি আর জীবনের ঘাঁনি টানতে পারছেন না।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সরকারিভাবে কবিয়াল হাসেম আলীর মূল্যায়ন হওয়া উচিত বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
এমএসএম / জামান

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু
