ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি সে দেশের মানুষই প্রাণ নিতে চেয়েছে : সোহেল রানা


বিনোদন ডেস্ক photo বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪-১১-২০২২ বিকাল ৫:০

দেশের হাসপাতালে চোখের ভুল চিকিৎসায় অন্ধত্ব বরণের উপক্রম হয়েছিল খ্যাতিমান অভিনেতা, প্রযোজক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানার। বিদেশ থেকে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফিরে অভিনেতা তাই আক্ষেপ করে বললেন, ‘যে দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম, সে দেশের মানুষরূপী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের কাছে দেশ আর মানুষের কোনো মূল্যই নেই।’

গত ৩০ অক্টোবর চোখের চিকিৎসা করাতে স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গিয়েছিলেন সোহেল রানা। ফিরেছেন গত শুক্রবার। সোমবার দেশের গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেতা। অভিযোগ করলেন, ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চোখের ভুল চিকিৎসা হয়েছে। সময়মতো সিঙ্গাপুর না গেলে তিনি অন্ধ হয়ে যেতেন।

চোখের ভুল চিকিৎসা করায় এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময়ই জানিয়েছিলেন সোহেল রানার ছেলে মাশরুর পারভেজ। এবার একই কথা জানালেন সোহেল রানাও। বললেন, ‘এদের বিরুদ্ধে কথা না বললে তারা আরও মাথায় উঠে যাবে।’ তার প্রশ্ন, ‘মানুষ নিরুপায় হয়ে ডাক্তারের কাছে যায়। সেই ডাক্তার যদি এমন হয় তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?’

এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সোহেল রানা। অভিনেতা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি শিল্পী সমাজকেও বিষয়টি জানিয়েছি। জীবনটা তো বিলিয়ে দিয়েছি এই দেশ, মানুষ আর অভিনয়ের পেছনে। এখন এই দেশ, দেশের মানুষ আর অভিনয় আমার জন্য কী করে দেখা যাক।’

হুঁশিয়ারি দিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘এভারকেয়ারের মতো এমন একটি হাসপাতাল থেকে আমরা এরকম ব্যবহার আশা করিনি। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। আরও কিছু কাগজের অপেক্ষায় আছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এরপর কথা বলব আইনের মাধ্যমে।’কিন্তু এভারকেয়ার হাসপাতালে কী ভুল চিকিৎসা হয়েছে সোহেল রানার চোখের?

এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘যে ডাক্তার আমার চোখের অপারেশন করেছেন, তিনি ক্যাটারাক্ট সার্জারি শেষ করে চোখে লেন্স না বসিয়ে চোখটি ব্যান্ডেজ মুড়িয়ে আটকে দেন। তারপরও যদি বলতেন, ভুল হয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোনো হাসপাতাল বা দেশের বাইরে দ্রুত যেতে হবে; তাহলে বুঝতাম তিনি ভুল করে অনুতপ্ত। কিন্তু সেটি না করে, চোখটাকে আড়াল করতে ব্যান্ডেজ মুড়িয়ে দিলেন। তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই।’

সোহেল রানা জানান, ‘সিঙ্গাপুর যাওয়ার পর জানতে পারলাম, পুরো চিকিৎসাটাই ছিল ভুল। আমার প্রশ্ন, এভারকেয়ার একটি নামকরা হাসপাতাল, সেখানে এ ধরনের একজন চিকিৎসক কীভাবে বসে আছেন? আরও একটি বিষয় হচ্ছে, এমন একটি হাসপাতালে চোখের চিকিৎসক মাত্র একজন। আমার সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে বলে এটি প্রকাশ্যে এসেছে। এমন আরও কত ঘটনা আছে, যেগুলো তারাই জানে।’

প্রীতি / প্রীতি