শিক্ষক সংকট কিছুটা কাটছে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট নিরাসনের লক্ষ্যে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেটি পুরোপুরি পূর্ণ না হলেও পাঁচ হাজার পদ বাড়ানো হয়েছে। এতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মোট ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। এতে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচিত প্রার্থীগণকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল সনদের মূলকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ৩ কপি, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (যথাযথভাবে পূরণকৃত), সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৩০ এবং নারী শিক্ষক ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৩৬ জন। আর শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ কোটি ৪১ লাখ ৪৪৫ জন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন শিক্ষকদের যোগদানের ফলে প্রাথমিকের শিক্ষক সঙ্কট নিরসন হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে অনুমোদিত পদের চেয়ে ৩৭ হাজার সহকারী শিক্ষক কম। এছাড়া প্রতিবছর অবসরে যাচ্ছেন ৫ থেকে ৭ হাজার জন শিক্ষক। নতুন এই নিয়োগের ফলে সঙ্কট কেটে যাবে। এবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যাবে। অনেক স্কুলে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় নিজ উপজেলার বাইরেও সমন্বয় করে পদায়নের পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
প্রাথমিকে মূল সঙ্কট শিক্ষক নয়, বড় আরও দুই সমস্যা হলো শিক্ষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পদায়ন ও বদলি। মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর এসব সঙ্কট সমাধানে কাজ করছে।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রাথমিকে মূল সঙ্কট শিক্ষক নয়, বড় আরও দুই সমস্যা হলো শিক্ষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পদায়ন ও বদলি। এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ চলছে, যা বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক শিক্ষার মূল সঙ্কট দূর হবে। মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর এসব সঙ্কট সমাধানে কাজ করছে।
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মোট ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে পদসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। পদ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চলমান নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ৫৮ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ এবং পদসংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে ৬১ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপিও দেন চাকরিপ্রার্থীরা।
সুজন / সুজন
ইবি'র তিন বিভাগে ৩০ আসন বৃদ্ধি
জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন
জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ নির্বাচন: সাধারণ সম্পাদক পদে তরিকুল ইসলামের ইশতেহার ঘোষণা
মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি
ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ
ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত
ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন