ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঐতিহ্যবাহী পিঠাঃ লবঙ্গ লতিকা


জান্নাতুল ফেরদৌস  photo জান্নাতুল ফেরদৌস
প্রকাশিত: ২০-১২-২০২২ বিকাল ৫:৮

পিঠা বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য। বর্তমানে মানুষ অনেক ভাবেই পিঠা তৈরি করে। তাদের কাছে পিঠ ফিউশন। কিন্তু আমার কাছে পিঠা মানে ঐতিহ্য। ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হয় ঐতিহ্যের মতোই। কোন ফিউশন করে নয়।  

আমাদের মা, চাচি, দাদি নানীরা যেভাবে পিঠা বানাতেন, আমি সেভাবেই পিঠা তৈরি করার চেস্টা করি । আজকে আপনাদের জন্য সে রকম একটি রেসিপি নিয়ে এলাম আমি জান্নাতুল ফেরদৌস, ওনার্স অফ জান্নাত কিচেন। আমার আজকের রেসিপি লবঙ্গ লতিকা পিঠা

উপকরণঃ 
১। ময়দা- ১ কাপ (২৫০ গ্রাম)।
২। তেল-২ টেবিল চামচ(ময়ান দেয়ার জন্য)।
৩। লনঙ্গ-১০/১৫ টি।
৪। চিনি বা গুড়-১ কাপ/দেড় কাপ।
৫। লবণ- ১ চিমটি।
৬। কুসুম গরম পানি- হাফ কাপ।
৭। নারিকেল কোড়া- দেড় কাপ।
৮। ভাজার জন্য তেল- পরিমান মতো।

প্রস্তুত প্রণালী


১। প্রথমে একটি বোলে ময়দা নিন। তার সাথে এক একে লবন, তেল দিয়ে ভালভাবে ঝরঝরে করে মেখে নিতে হবে।  এরপর তার মধ্যে পরিমানমতো পানি মিশিয়ে সুন্দর করে রুটির খামিরের মতো তেরি করে নিতে হবে। খামির করা হয়ে গেলে এ খামির টিকে ৫ মিনিট এয়ার টাইট করে রেখে দিতে হবে। কারো কাছে এয়ার টাইট বক্স না থাকলে পলি দিয়েও বেঁধে রাখা যায়। এটি না করলেও সমস্যা নাই। তবে করলে বানানোটা সহজ হয়।

২। নারিকেল আর গুড়/চিনি একসাথে মিশিয়ে সাথে ৪/৫ টা লবঙ্গ দিয়ে চূলায় বসিয়ে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। আঠালো হয়ে পাতিল থেকে যখন ওঠে আসবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। (তবে এই পিঠা চিনি দিলেই ভাল হয়।  লবঙ্গের আসল গন্ধটা পাওয়া যাবে)।

৩। এ পর্যায়ে খামিরটিকে ১০ ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। কারণ এ পরিমান খামির দিয়ে  স্ট্যান্ড্রাড্ সাইজের ১০টি পিঠাই হবে।

৪। এখন একেকটি ভাগ করা খামির নিয়ে গোল রুটি বেলে নিতে হবে। রুটি বোলের মাঝখানে পরিমান মতো নারিকেলের পুর দিয়ে এক পাশ থেকে রুটি টেনে উপড়ে তুলে একটি লবঙ্গ দিয়ে মাঝখানে আটকে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারনত পাঁচটি ভাজ হবে।

৫। সবগুলো পিঠা বানানো হয়ে গেলে ডুবো তেলে মাঝারি আঁচে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে । এতেই হয়ে যাবে দেখতে আকর্ষনীয়  ও মজাদার লবঙ্গ লতিকা। এবার তেল ঝড়িয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

এমএসএম / এমএসএম