ঢাকা শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন


ফায়েজুর রহমান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়  photo ফায়েজুর রহমান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ২৩-২-২০২৩ দুপুর ১১:৫২

ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন পিতা মাতার পরে ই শিক্ষকের অবস্থান হলেও নিজের দোষ ঢাকতে যখন শিক্ষার্থী শিক্ষকের উপরই দোষ চাপায়, নি:সন্দেহে তা ন্যাক্কারজনক। এমনই ঘটনা ঘটেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিগত ১৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে পরীক্ষার হলে দায়িত্ব থাকা শিক্ষকদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে এক ছাত্রী। কিন্তু নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংশ্লিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয় নি কর্তৃপক্ষ।

এরই মধ্যে নিজের দোষ ঢাকতে এবং নকলের শাস্তির সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে নকল করতে গিয়ে ধরা পড়া শিক্ষার্থী হেনস্থা ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনে অত্র বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত ১৯ জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধকল্প কমিটির নিকট ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ পাঠান উক্ত শিক্ষার্থী। 

এরইমধ্যে, ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই অভিযোগকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও শিক্ষকের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ বলে দাবি করে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে অংশ নেয় এবং তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী গণস্বাক্ষর করে।অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযোগকারী ছাত্রীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

উক্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ও সেসময়ে উপস্থিত থাকা একজন শিক্ষার্থী সাদিকুল ইসলাম বলেন,অভিযোগকারী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় আমার সাথে একই বেঞ্চে পরীক্ষা দিয়েছিলো। কিন্তু ঐদিন সে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বাইরে থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে আমার পিছনের বেঞ্চে বসে এবং পরবর্তীতে শিক্ষকেরা তাকে পরীক্ষার অতিরিক্ত খাতায় থাকা নকলসহ হাতেনাতে ধরে। সেখানে কোন প্রশ্নের উত্তর ছিল না বরং প্রশ্নের উত্তরে দিতে হবে এমন কোটেশন গুলো লিখা ছিল শুধু।

আরেকজন শিক্ষার্থী আফসানা মিমি বলেন,নকল ধরার পর শিক্ষকেরা তাকে জবাবদিহি করছিলো এবং সে বারবার অস্বীকার করে বলছিল এটা আমি বাসায় প্র‍্যাক্টিস করেছিলাম। তাছাড়া ঐ অতিরিক্ত খাতাটি না দিতে সে টানাটানি ও করে। মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল কি না,  এ প্রশ্নেই  জবাবে আফসানা মিমি বলেন, 

সেসময় আমি উপস্থিত ছিলাম, তার সাথে তেমন কোন বৈরী আচরণ করেন নি শিক্ষকেরা। একজন ছাত্রী হিসেবে আমার কাছে এটি হেনস্থার মতো মনে হয় নি।

অভিযোগের বিষয়ে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন,অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্য এবং ভিত্তিহীন। এবিষয়ে বলার কিছু নেই। শিক্ষার্থীর নকল সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, এ সম্পর্কে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর ই সিদ্ধান্ত নিবে।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধকল্প কমিটির সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পিংকি রাণি দে বলেন,

গত ১৯ জানুয়ারী ডাকযোগে তার অভিযোগটি পেয়েছি। সেখানে সে বিভিন্ন অভিযোগের কথা জানিয়েছে, তবে আমরা যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত যে অভিযোগ জানিয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করছি। তাকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী সাক্ষাতের জন্য ডাকা হলেও সে উপস্থিত হয় নি। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা সত্যতা নিরূপণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করব।

এমএসএম / এমএসএম

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি