ইবিতে পুনর্মিলনী, আনন্দ-উল্লাসে মেতেছে প্রাক্তন-নবীনরা
'এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে সকাল-বিকেল বেলা/ কত পুরোনো-নতুন পরিচিত গান গাইতাম খুলে গলা’। ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানের এই জনপ্রিয় গানের মতোই বন্ধুদের সঙ্গে চিরচেনা ক্যাম্পাসে অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নানা আয়োজনে শুক্রবার (১০ মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়েছে ইংরেজি বিভাগ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী। বিভাগটির ১৯৯১-৯২ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সহস্রাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিভাগের নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশের বিভিন প্রান্ত থেকে বিভাগের প্রবীণ শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছেন চিরচেনা ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাস জীবনের প্রিয় সহপাঠীদের পেয়ে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন একে অপরকে। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে দেখছেন পুরনো দিনের পদচিহ্ন। সহপাঠী, বড় ও ছোট ভাই বোনদের কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন তারা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
ইংরেজি বিভাগ এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে মনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন ও সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারী, সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মিয়া মোঃ রাসিদুজ্জামান। এছাড়া প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরোমের সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমানসহ বিভাগটির অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিধির বক্তব্যে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, এলামনাইরা শুধু একটি বিভাগের সম্পদ নয়, তারা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ও সমগ্র জাতির সম্পদ। এখানে বিভাগগুলোর প্রধান কাজ হলো স্ব স্ব কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ থেকেই অসংখ্য শিক্ষার্থী পাস করে বেরিয়ে গেছেন যারা স্ব স্ব জ্ঞান দিয়ে সমাজ, রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। এসময় তিনি সকল এলামনাইকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগকেই অনুরোধ জানান।
এমএসএম / এমএসএম