ডা. এনামুল হক টিটু
রোজায় পানিশূন্যতা মুক্ত থাকার উপায়
পবিত্র মাহে রমজানে পানিশূন্যতা মুক্ত থাকার উপায় সম্পর্কে গুরত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ইয়র্ক হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক টিটু।
রমজানে একজন রোজদারীকে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। সেকারণে মানুষ পানিশূণ্যতাসহ নানারকম শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। পানিশূন্যতার কারণে হার্ট রেট কিংবা প্রেশার কমে গুরুতর বিপত্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
তবে যারা রোজা পালন করেন তাদের রোজা পালনে যাতে কোনভাবে পানিশূন্যতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের ব্যাপারে খেয়াল রাখা জরুরী। নিয়মমতো যথেষ্ট পানি পান করলে তারা এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যেতে পারে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে অবশ্যই পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে এবং শরীর ফিট রাখার জন্য আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে। একই সাথে শরীরচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যারা তারাবি নামাজ পড়েন সেটি তারা নিয়মিত পড়লে উপকৃত হবেন।
ইফতার থেকে আরম্ভ করে সেহরি পর্যন্ত এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যেসব খাবারে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। অনেকেই ইফতারের পর আর খেতে চান না। এটি ঠিক নয়। রাতের খাবার খেতে হবে পরিমিত মাত্রায় এবং সেহরিও খেতে হবে। তাহলে পানির ঘাটতি কম হবে।
রোজার সময় যারা রোজা পালন করেন তাদের দিনের বেলায় পানাহারের সুযোগ নেই বলে দীর্ঘ সময় পানি পান করতে পারেন না। অন্যদিকে ঘাম, প্রস্রাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এজন্য শরীর ফিট রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং এর কোন বিকল্প নেই। ইফতার থেকে সেহরির সময় পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমান পানি পান করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বয়স, উচ্চতা এবং ওজন ভেদে পানি পান করা উচিত।
এমএসএম / Sunny