ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

বহুমুখী ভূমিকায় শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র


নিশাত শাহরিয়ার photo নিশাত শাহরিয়ার
প্রকাশিত: ৫-৪-২০২৩ দুপুর ৪:৩৩

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশু মাতৃক্রোড়ে- সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই লাইনটির আবেদন যুগে যুগে সত্য এবং চিরন্তন এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে কর্মজীবী একজন মায়ের পক্ষে তার সন্তানকে সারাক্ষন নিজের কাছে রাখা কখনোই সম্ভব হয়ে উঠে না। বর্তমান সময়ের বাস্তবতায়  অনেক মায়েরাই কর্মজীবী এবং বহির্মুখী। অপরদিকে যৌথ পরিবার ভেঙে যাওয়ার ফলে শিশুর প্রতিপালনে তারা অনেকটাই নিরুপায়। এমন বাস্তবতায় শিশুর রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্বিক বিকাশের সঙ্গী হতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের ধারণাটি  নারীদের সুবিধা-অসুবিধার সঙ্গে মিলিয়েই চিন্তা করা হয়। তবে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র যে নারীর ক্ষমতায়ন তথা কর্মসংস্থানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

সাধারনত দেখা যায়, সন্তানকে কাছে রাখার অসুবিধার কারণে একক পরিবারের অনেক  মাকে কর্মক্ষেত্র ছেড়ে দিতে হচ্ছে শুধুমাত্র সন্তানকে দেখাশুনার সুবিধার্থে। এতে করে ঐ নারীর পক্ষে সংসারে আর্থিক সহায়তা করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। আর আমাদের দেশের বাস্তবতায় উপার্জন না থাকলে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখাটাও কষ্টকর বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। 

তাই বলা যায়, শুধুমাত্র সন্তানকে দেখাশুনার কারনেই একজন নারী যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভাল একটা চাকরী করতে পারেন না অথবা শিশুর দেখাশুনা করার মত কেউ না থাকায় চাকরী করা সম্ভব হয়ে উঠে না। নগরায়নের যুগে এমন বাস্তবতাগুলো অনু পরিবারগুলোতেই বেশি লক্ষণীয়।   

বাংলাদেশ সরকার শ্রম আইন- ২০০৬ এর সংশোধনীতে ৯৮ ধারায় শিশু-কক্ষ বিষয়ক আইন যুক্ত করে  তাতে বলা হয়েছে, একটি অফিসে ৪০ জন বা এর বেশি মহিলা থাকলে এবং তাদের ছয় বছরের কম বয়সি শিশু সন্তান থাকলে তাদের সুবিধার্থে কর্মক্ষেত্রে একটি শিশু-কক্ষ স্থাপন করতে হবে। তবে আইন বাস্তবায়নে ধীরগতির ফলে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। 

বাস্তবতা একই হলেও অনেকেই আবার আইনের আওতায় পড়ছেন না। আসলে বর্তমানে নারী ক্ষমতায়নের যুগে নারীদের ঘরে বসে বসে সন্তান দেখাশুনা করাটা কতটা যৌক্তিক এটা অবশ্যই আলোচনার দাবী রাখে। তবে সত্যি বলতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিকতাই পারে শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সঠিক যত্ন নিতে। এতে করে একজন মা তার কর্মক্ষেত্রে যেমন সঠিকভাবে সময় দিতে পারে তেমনি সন্তান নিরাপদে আছে, ভালো আছে এই ভাবনাটাও তার মাঝে কাজ করে। এভাবেই গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র।

অন্যান্য পেশার মত চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত মায়েরাও তাদের সন্তানের দেখাশোনার বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকেন এমন বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য ডা: মোঃ শারফুউদ্দিন আহমেদ। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় 

স্থাপিত হয় শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র। ২০২৩ সালে এসেও প্রতিষ্ঠানটির সেবা কার্যক্রম যেমন চালু রয়েছে তেমনি প্রশংসিত হচ্ছে কর্মজীবী বাবা মা এবং স্বজনদের কাছে। ছয়মাস বয়স থেকে চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ভর্তি নেয়া হয় এখানে। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কয়েকবার খাবারসহ দিবা যত্ন কেন্দ্রের সেবা পেয়ে থাকে শিশুরা। রাজধানীর প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এমন সুবিধা থাকাটা এখন সময়ের দাবি। তবে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাজধানী সহ রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র। ইদানিং বেসরকারি উদ্যোগেও শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র গড়ে উঠছে। 

মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও বিশেষ সুবিধা রয়েছে শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্রে যা কিনা সরকারিভাবেই পরিচালিত হয়ে আসছে। কানেক্টিভিটির যুগে এমন পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে এমন সেবার পরিসর আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন সেবা প্রার্থীরা।

এমএসএম / এমএসএম

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

ক্যানসার রহস্যের জট খোলার নতুন ‘সূত্রের’ সন্ধান মিলেছে

বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ইসি গঠনে সাত সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি

বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

আঘাতপ্রাপ্ত রেটিনায় চোখের চিকিৎসা ও সম্ভাবনা

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির সভাপতি এম এ ফয়েজ

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে ওএসডি

কাজে ফিরলেন চিকিৎসকরা, রোগী ও স্বজনদের স্বস্তি

আন্দোলনে নিহত হাজারেরও বেশি, চোখ হারিয়েছেন চার শতাধিক

সেব্রিনা ফ্লোরাকে নিপসমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন

পদত্যাগ করলেন বিএসএমএমইউ ভিসি