ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

কারাগারে নেই মানসিক ডাক্তার


মো. বাকী বিল্লাহ photo মো. বাকী বিল্লাহ
প্রকাশিত: ২৯-৪-২০২৩ বিকাল ৫:৪৭

দেশের কারাগারগুলোতে বন্দীদের এক-তৃতীয়াংশই মাদক মামলার আসামি। আর তাদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত রোগী। মাদকের বিস্তার ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধৃত আসামি মাদকসেবী ও মাদক কারবারি একই সেলে থাকছে কারাগারে। ফলে তাদের মধ্যে সহজেই বন্ধুত্ব হওয়ার সুযোগে এর ঝুঁকি আরো বাড়ছে। এছাড়া বন্দীদের মানসিক বিকাশ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কারাগারে নেই প্রয়োজনীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিভিল সার্জন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগারের হাসপাতালে ৪ জন সহকারী সার্জন নিয়োগ থাকলেও মাদকরোগীর চিকিৎসায় নেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার ও নার্স । অথচ দেশের ৬৮ কারাগারে প্রতিদিন আটক থাকে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার আসামি। এর মধ্যে মাদক মামলার আসামিই প্রায় ২৪ হাজার। অবশ্য মাদক মামলার এসব আসামিদের বড় অংশই মাদকরোগী।

কারাগারে মাদক মামলায় বন্দীদের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ সকালের সময়কে মুঠোফোনে বলেন, এ কারাগারে ৬শ বন্দীর মধ্যে প্রায় ২শ আসামিই মাদক মামলায় আটক। মাদক মামলার নতুন আসামিদের মাদকসেবী চিহ্নিত করতে প্রথমে আলাদা সেলে রাখা হয়। পরে নেশার উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিলে কারারক্ষী ও কয়েদিরা তাদের অভিজ্ঞতায় সেবা দেয়ার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, এদের চিকিৎসা প্রয়োজন হলে কারা হাসপাতালের চিকিৎসক জেনারেল চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তবে দেশের কারা হাসপাতালগুলোতে নেই মনোরোগ চিকিৎসক, মাদকরোগীর চিকিৎসায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ খুবই প্রয়োজন। কারণ মাদকসেবীর নেশা ওঠলে অনেক সময় একজন অপরজনকে আঘাত করাসহ নানান রকম  আত্মঘাতি আচরণ করে থাকে।

এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. মতিয়ার রহমান সকালের সময়কে মুঠোফোনে বলেন, আমাদের জেলা কারাগারে ৮৮৬ জন বন্দীর মধ্যে ২শ এর বেশি  মাদক মামলার আসামি। মাদকাসক্ত বন্দী অনেক সময় নেশার চাহিদায় অজ্ঞান হয়, মানসিক উত্তেজনায় অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকে। তখন নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে মাদক মামলার এসব বন্দীদের নার্সিং করি ও কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করি। এদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জেলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আরো বলেন, মাদকাসক্তরোগীকে সুস্থ্যজীবনে ফেরাতে মানসিক সুস্থ্যতায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন, যা কারাগারে নেই।
বন্দী মাদকরোগীদের চিকিৎসায় কারাগারে প্রশিক্ষিত লোকবল নেই এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. জিয়াউল হক সকালের সময়কে বলেন, কারাগারে বন্দীদের জেনারেল চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। মাদকরোগীর চিকিৎসায় আলাদা প্রশিক্ষিত লোকবলের ব্যবস্থা এখনো নেই। তবে প্রয়োজনীয় লোকবলের চাহিদা কাঠামো প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবিত চাহিদা অনুমোদন হলে এ বিষয়ে নিয়োগ দিবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের ৬৮টি কারাগারে মাদক মামলার আসামিদের সচেতন করতে ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত মাদকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদক নিরোধে ও বন্দীদের সচেতন করতে কারাগারগুলোতে ২০২২ সালে ১শ সেমিনার করলেও এবছর গত তিন মাসেই ৬৪টি সচেতনতামূলক প্রচারণা করেছে অধিদপ্তর। 

 

এমএসএম / এমএসএম

বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭ রোগী

ডেঙ্গুতে ঢাকায় কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৮

বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষায় অশনি সংকেত অটোমেশন; ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

ক্যানসার রহস্যের জট খোলার নতুন ‘সূত্রের’ সন্ধান মিলেছে

বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ইসি গঠনে সাত সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি

বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

আঘাতপ্রাপ্ত রেটিনায় চোখের চিকিৎসা ও সম্ভাবনা

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির সভাপতি এম এ ফয়েজ