ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

জবির হলে ছাত্রীকে নির্যাতন: শাস্তির দাবি মহিলা পরিষদের


জবি সংবাদদাতা photo জবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১৯-৫-২০২৩ দুপুর ২:৯
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলে এক শিক্ষার্থীকে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
 
জানা যায়, বৃহস্পতিবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
 
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ মে রাতে নিজেদের রুমে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সিনিয়র শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক জুনিয়র শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জুনিয়র শিক্ষার্থী হলের অন্য রুমের মেয়েদের নিয়ে এসে সিনিয়র শিক্ষার্থীকে প্রায় ৩ ঘণ্টা রুমে আটকে রেখে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। প্রায় ৩ ঘণ্টা হেনস্তার পর সিনিয়র শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়।
 
আমরা উদ্বিগ্নতার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এবং শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যৌন হয়রানি ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে শিক্ষার্থীকে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় আমরা খুবই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
 
এ ঘটনায় একদিকে যেমন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। নারী শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে মহিলা পরিষদ।
 
এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায় মহিলা পরিষদ।
 
জানা যায়, মারধর করা শিক্ষার্থীরা সবাই জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের কর্মী। তারা হলেন- তামান্না ইসলাম তন্বী, ইশিতা, ফাল্গুনী আক্তার, নিনজা শিকদার , ইরা ও নাজমুন নাহার স্বর্ণা। 
 
অন্যদিকে নির্যাতনে শিকার শিক্ষার্থী  হলেন- হাফসা বিনতে নূর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। হাফসার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে নিজেদের রুমের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাফসা বিনতে নূরের সাথে জুনিয়র রুমমেট রেবেকা খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রেবেকা হলের অন্য রুমের ছাত্রলীগের মেয়েদের নিয়ে এসে রুম আটকে হাফসাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন ও হেনস্তা করে। করা হয় হেনস্তার ভিডিও। প্রায় তিন ঘন্টা যাবৎ হেনস্তার পর হাফসা বিনতে নূর অজ্ঞান হয়ে যায়।

এমএসএম / এমএসএম

চাকসুর গঠনতন্ত্রে যোগ হলো এমফিল-পিএইচডি শিক্ষার্থী: পূর্ব সিদ্ধান্ত বদলে বিতর্কে প্রশাসন

জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

শেকৃবিতে শিক্ষার্থীদের জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে দেয়া হবে ল্যাপটপ

ইউজিসি'র হিট প্রকল্পের গবেষণা ফান্ডে নাম নেই জবির

চবিতে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,মৃত্যু ঘিরে রহস্য

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই ৩৬ কর্ণার উদ্বোধন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে যুক্ত হচ্ছে লিখিত ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষা

জুলাইয়ের স্পিরিট নিয়ে কাল আসছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ইউটিএল

গবিতে বিতর্ক উৎসব: চার ধারার যুক্তিযুদ্ধ

দাবায় চবির ৯ অনুষদের লড়াই, শেষ হলো ‘চেস ফেস্ট

ইবিতে নিহত সাজিদের শেষ ফোনকল নিয়ে রহস্য