গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধিনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব- কাজী মামুন

বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিদারদের মুখে চুনকালি দিয়ে গাজীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তাহলে কি প্রমাণ করে? গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দরকার নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এবং স্বদিচ্ছা।
শুক্রবার ২৬ মে বিকেলে সিলেট নগরীর "হোটেল গার্ডেন ইন ভিআইপি"র বলরুমে অনুষ্ঠিত জাপার সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মামুন বলেন, ভুলে যান কেনো?, মাগুরার উপ নির্বাচনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের নিলর্জ্জ সদিচ্ছার বহিপ্রকাশ ঘটেছিল। কি হয়েছিল সেদিন, আমরা কি ভুলে গেছি? তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ সাহেব সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়ে দূঃখ প্রকাশ করে মাগুরা ছেড়ে এসেছিলেন। সুতরাং মাগুরার নির্বাচনকারীদের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানায় না। তাদের হাতে যেমন দেশ নিরাপদ নয়, তেমনি গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিরাপদ নয়।
এসময় কাজী মামুন বলেন, বলার অপেক্ষা রাখে না, নিঃসন্দেহে গাজীপুরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে আর কি প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে?
বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র আরো বলেন, গাজীপুরে জাতীয় পার্টির প্রায় এক লাখ ভোট ব্যাংক রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলো লাঙলের প্রার্থীরা তেমন ভোটই পেয়েছেন। তাহলে এবার লাঙলের প্রার্থীর জামানত হারানোর মানে জাতীয় পার্টির পরাজয় নয়, এটা জিএম কাদেরের পরাজয়।
সিলেটে পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য কাজী মামুন বলেন, নির্বাচনে কে লাঙল প্রতীক পেলো, সেটা মূখ্য বিষয় নয়। লাঙলের মালিক এরশাদ-রওশন এরশাদ। তৃণমূলের লাখ লাখ নেতাকর্মীরা লাঙলের উত্তরাধিকারী। সুতরাং জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান কাজী মামুনূর রশীদ।
সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ও দশম জাতীয় সম্মেলনের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড.জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য পীরজাদা জুবায়ের আহমদ, জাপা নেতা অ্যাড.আবু সালেহ চৌধুরী, ইশরাকুল হোসেন শামীম, মুজিবুর রহমান ডালিম, মুরাদ আহমেদ, মো.কাইয়ুমসহ সিলেট বিভাগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ জামাল রানা, অ্যাড.আব্দুল্লাহ আল হেলাল, সৈয়দ মোকাব্বের, ইসরাফিল হোসেন মিয়া, মো.ফিরোজ খান, সোলাইমান মজুমদার ও আব্দুল আজিজ।
এরআগে সকালে বিমান যোগে সিলেট পৌঁছে প্রথমে হযরত শাহ জালাল(রহ.)'র মাজার জিয়ারত করেন কাজী মামুনের নেতৃত্বাধীন সফরকারী টিম। দুপুরে জুমার নামাজ আদায় শেষে হযরত শাহ পরান(রহ.)'র মাজার জিয়ারত করে আড়াইটায় প্রতিনিধি সভায় যোগ দেবেন বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মো. মামুনূর রশীদ। এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটির কর্মসূচিতে অংশ নিতে শনিবার কক্সবাজার যাচ্ছেন বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র।
এমএসএম / এমএসএম

দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে জনগণ গর্বিত থাকতে চান: জামায়াত আমির

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণভোট করার দায়িত্ব কে দিয়েছে

দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে :আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে : দুদু

গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ অবাধ নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন: আমীর খসরু

সামনে মহাপরীক্ষা, কোনো ষড়যন্ত্র যেন সফল না হয়: ফখরুল

দুই আঞ্চলিক শক্তি, এক বিশ্বমোড়ল দেশে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে: সালাহউদ্দিন

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে জাতিসংঘের সহায়তা চায় জামায়াত

অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি দৃঢ় থাকবে, ততই সন্দেহ চলে যাবে : তারেক রহমান

ইনশআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরে আসব : তারেক রহমান
Link Copied